প্রাচীন কাল থেকে পাঁচটি স্তর পার হয়ে আধুনিক বর্ণমালা এসেছে। একসময় কোন বর্ণমালা ছিলো না, গাছপালা -মানুষ- প্রাণির ছবি এঁকে মনের ভাব প্রকাশ করা হতো। এটা হলো বর্ণমালার প্রথম স্তর – “গ্রন্থলিপি”।

আনুমানিক দশ হাজার বছর আগে গ্রন্থলিপির ব্যবহার ছিলো। এরপর এলো “ভাবলিপি”। সম্পূর্ণ ছবি না এঁকে, সংকেত বা চিহ্ন বা প্রতিকের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা হতো। যেমন, দিন বোঝাতে পূর্ণ বৃত্ত, অর্থাৎ সূর্য। রাত বোঝাতে অর্ধ বৃত্তের সাথে তারা আঁকা হতো।

এরপর তৃতীয় স্তরে এলো – শব্দলিপি। এই স্তরে ব্যাপক হারে চিহ্নের ব্যবহার বাড়তে থাকে। শব্দলিপি আরো সংক্ষিপ্ত হয়ে এলো চতুর্থ স্তর “অক্ষরলিপি”। অক্ষরলিপি আরো সংক্ষিপ্ত হয়ে পঞ্চম স্তর হিসেবে এলো ” ধ্বনিলিপি”। এই ধ্বনিলিপি থেকেই আধুনিক বর্ণমালার উৎপত্তি। সেই সময় অক্ষরগুলো বিভিন্ন রং-এ লেখা হতো। সেই থেকেই অক্ষরের নাম হয়েছে “বর্ণ”, বর্ণ থেকে “বর্ণমালা”। আমাদের বাঙলা বর্ণমালা এসেছে প্রাচীন ভারতীয় “ব্রহ্মীলিপি” থেকে। পৌরাণিক উপকথামতে হিন্দু দেবতা ব্রহ্মা ভারতবর্ষের প্রাচীন লিপি আবিষ্কার করেছিলেন এবং ধ্বনির সাথে এই লিপি দান করেছিলেন, আর তাই ঐ লিপির নাম হয় ব্রাহ্মীলিপি।

চলবে তথ্য সূত্র:-উইকিপিডিয়া > কত নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী – হুমায়ুন আজাদ। উচ্চতর স্বনির্ভর বিশুদ্ধ ভাষা শিক্ষা। -ড.হায়াত মাহমুদ। সংগ্রহ-Kanon Rahman

2 মন্তব্য

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন