আজ বাংলাদেশের খেলা দেখে মনটা বেশ খারাপ ৷ তাই, মনকে ডাইভার্ট করার জন্য কাজের পাশাপাশি সম্পূর্ণ অন্য একটি বিষয় নিয়ে লেখার মাধ্যমে ডুবে থাকলাম

সম্পর্ক নিয়ে এই ব্লগে আমি এর আগে তিনটি পর্ব লিখেছিলাম ৷ আগের পর্বগুলো থেকে এই পর্বটি কিছুটা অন্ন ধাঁচের ৷ অনেক মাসের দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আজ চতুর্থ পর্বের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন অথচ দরকারি একটি বিষয় বেছে নিলাম ৷ প্লিজ , আমার এই লেখাকে কেউ পার্সোনালি নিবেন না ৷ আমার এই লেখার উদ্দেশ্যহলো আমাদের সচেনতা আরো বৃদ্ধি করা, যাতে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো অটুট থাকে, আরো মধুর থাকে ৷
—————————————
হয়তো পথে ঘাটে কারো সাথে দেখা হলো , আমরা অনায়েসে হেয়ালি ভাবে বলি, ভাই/ভাবি অনেক দিন দেখা হয়না ৷ বাসায় আসেন ৷ কিন্তু আমরা কি সত্যি সিরিয়াসলি বাসায় আসতে বলি ? বাসায় আসতে বললে স্পেসিফিকভাবে বলতে হয়, কারন, আপনার বাসা যেয়ে দেখা গেলো আপনি বাসায় নেই ৷ তাহলে ? ব্যাপারটি কি দাঁড়ালো, আপনি কাউকে বাসায় আসতে বললেন কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাসায় আসতে বললেন কি ? এতে আপনিও যেমন এই ‘বাসায় আসা কে হালকাভাবে দেখলেন যাঁকে বলছেন তিনিও কিন্তু সমপরিমানে হালকা ভাবে নিলেন ৷ তাই, আপনার কোথায় মৃদু হেসে হয়তো আপনার উত্তরে বলছেন, জি ভাই / ভাবি, আপ্নেও আসেন ৷ এই কথপোকথনের ভিত্তি হচ্ছে ”ফর্মাল সম্পর্ক”৷ আমরা চাই প্রাণবন্ত সম্পর্ক, কোনো ফর্মাল সম্পর্ক না ৷

সম্পর্ক হচ্ছে মানুষের সাথে মানুষের বন্ধন ৷ সমাজে চলা ফেরা করতেহলে এই বন্ধন মেনে চলা অপরিহার্য ৷ আমাদের প্রত্যেকের প্রত্যহ সুখ/দুঃখ হাসি/কান্নার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ৷ তাই আমরা যেকোনো উপলক্ষকে কেন্দ্রকরে দাওয়াতকে বেছে নেই একটু প্রাণ খুলে গল্পগুজব করার জন্য, একটু ভাল/মন্দ খাবার খেয়ে চুটিয়ে আড্ডা দিতে কার না ভাল না লাগে ৷ কিন্তু এই দাওয়াতই অনেকসময় আমাদের সম্পর্কের ছিন্নের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ৷

সম্পর্ক নতুন করে তৈরিতে বা বিদ্যমান সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে অথবা ভগ্ন সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে দাওয়াতের যেমন জুড়ি নেই, একইভাবে আমাদের মানতে হবে দাওয়াতের মাধ্যমে সম্পর্ক এক ফুৎকারে নিভিয়ে যেতে সময় বেশি লাগেনা ৷ যিনি দাওয়াত করেন অথবা যিনি দাওয়াত খেতে যান উভয়েরই কিছুটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুলের মাশুল হিসাবে এই সম্পর্কহানি ঘটে থাকে ৷ বিশেষকরে শহর অঞ্চলে এই ভুলগুলি বেশি চোখে পরে ৷ আর প্রবাসে এইগুলি হরহামেশাই চোখে পরে. চলুন, আরো বিস্তারিতভাবে আলাপকরা যাক ৷

১. দাওয়াতের লিস্ট: যিনি দাওয়াত দেন সবচেয়ে বেশি ভুল করে থাকেন সেটা হলো দাওয়াতের লিস্ট বিষয়ে ৷ দাওয়াতকারীর বাসস্থান সীমিত জায়গার কারণে অথবা সীমিত ব্যাবস্থপনার কারণে যিনি দাওয়াত করেন উনাকে কিছুটা কাটছাট করে দাওয়াত করতে হয় ৷ সমস্যাটা হয় এখন থেকেই ৷ খুব কাছের কেউ হয়তো লিস্ট থেকে বাদ পরে গেলো ৷ আমরা দাওয়াত পেলাম আমাদের একটি স্বভাব হচ্ছে আমরা খুব সাবলীলভাবে পাবলিসিটি করে করে বেড়াই, আমার অমুকের বাসায় দাওয়াত আছে … ইত্যাদি ৷ এতেকরে যেটা হয়, যিনি দাওয়াত পাননি সে বেচারা নিজেকে অপমানিতবোধ করে এবং এভাবেই সম্পর্ক অবনতির প্রথম বীজ বপন কাজ সম্পন্ন হয় ৷
পরামর্শ: আমরা যখন দাওয়াত করবো একটু ভেবে চিনতে লিস্ট তৈরীকরবো ৷ এক্ষেত্রে অবস্যই, নিকট আত্মীয়, প্রতিবেশীদেরকে প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত ৷ অথবা একাধিক ধাপে বা পর্বে দাওয়াত দেওয়া যেতে পারে ৷ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যাদেরকে বাদ দেওয়া হলো তাদেরককে বুঝিয়ে বললে অনেকসময় এই সমস্যা সল্ভড হয়ে থাকে ৷ আর, যাঁরা দাওয়াত প্রাপ্ত হলেন তারা যেন দাওয়াতের কথা অতবেশি বলাবলি না করি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ৷

২. এটেনশন বা মনোযোগ বা পক্ষপাতিত্ব : আমরা যাঁরা দাওয়াত করে অতিথিদেরকে বাসায় ডেকে আনি, অনেকসময় বিভিন্ন কারণে সব অতিথিদেরকে সমানভাবে এটেনশন বা মনোযোগ দিতে পারিনা ৷ আমরা কিছুটা অনাকাঙ্খিত ভাবে পক্ষপাতিত্ব করি ৷.এখান থেকেও ব্যাপক ভুল বুঝাবুঝি হয়ে থাকে ৷ দাওয়াত খাবার পরে অন্য কোথাও গল্প করি, “জানিস সেদিন অমুকের বাসায় দাওয়াত খেতে গেলাম, ভাবিটা সারাক্ষন ওই ভাবীগুলির সাথেই গল্প করলো আমার দিকে ঘুরেও তাকালেননা ৷ অথবা জানিস ভাবিটা /ভাইটা টেবিলে সবাইকে খাবার তুলে তুলে দিলেন কিন্তু আমারদিকে কোনো খবর নাই ৷ শুধু তাইনা, হয়তো দাওয়াতকারী ভাবি দাওয়াত শেষে কিছু ভাবীদেরকে বেশি মনোযোগ দিতে যেয়ে দাওয়াত শেষে মেহমানদের বাড়ি যাবার সময় বাড়তি খাবার সাজিয়ে দিলেন, কিন্তু বাদপড়া ভাবীরা পরে মনে কষ্ট পেলেন. ইত্যাদি ইত্যাদি ৷

পরামর্শ: কাউকে দাওয়াত দিয়ে যখন বাসায় এনেছি তখন মেহমানদের প্রত্যেকের দেখভালের দায়িত্ব আমারই ৷ খাওয়া দাওয়া, গল্প গুজব করা ইত্যাদি যেকোনো ক্ষেত্রে কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব করা যাবেনা ৷ তবে হ্যা, আমি যেহেতু একা, এক্ষেত্রে আমাকে কিছুটা টেকনিক্যাল হতে হবে ৷ শুধু দুই একজনের সাথে সময় না দিয়ে সবার সাথেই হেসে হেসে কথা বলতে হবে ৷ প্রত্যেকটি মানুষের অবস্যই কিছুনা কিছু ইস্যু থাকে ৷ মনে না থাকলে কিছুটা হোমওয়ার্ক করে জেনে নিন একেকজনের সুখের খবর/দুঃখের খবর ৷ যেমন ধরুন, কেউ হয়তো দুই এক সপ্তাহ আগেই গাড়ি একসিডেন্ট করেছে, কেউ হয়তো নতুন চাকুরীতে ঢুকেছে, কেউ হতো নতুন গাড়ি কিনেছে, কেউ হয়তো সবেমাত্র দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছে ইত্যাদি যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলুন ৷ যদি তাও সমস্যা হয়, উনাদের বাচ্চাদেড় নিয়ে, বাচ্চাদের পড়াশুনা নিয়ে কথা বলুন ৷ এক্ষেত্রে সাবধান, কারো বাচ্চা যদি পড়াশুনায় অমনোযোগী বা ভালো কিছু করতে নাপাড়ে ভুলেও সেই বাবা মায়ের কাছে বাচ্চা /কাচ্চার প্রসঙ্গই আনবেন না ৷ যদি কোনো প্রসঙ্গ খুঁজে না পান অথিদের পোশাকের প্রশংসা করুন, আবহাওয়া নিয়ে কথা বলুন ৷

৩. রাজনীতি : আমরা বাংলাদেশীদের কাছে রাজনীতি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি টপিক্স ৷ আর দাওয়াতের মধ্যে তো কোথায় নাই. একবার, এই টপিক উঠলে আর রক্ষা নাই, দাওয়াত একেবারে নিঃসন্দেহে বারোটা বেজে যাবে ৷

পরামর্শ: যাঁরা দাওয়াত খেতে এসেছেন উনারা যদি নিজেরা রাজনীতি নিয়ে কথাবলে , বলুক কিন্তু আপনি অর্থাৎ যিনি দাওয়াত করেছেন তিনি যেন সকল ধরণের রাজনীতির আলাপ থেকে কম পক্ষে ৪০ হাত দূরে থাকেন ৷ রাজনীতি বা ধর্ম এসব অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় ৷ একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই মানুষ রেগে যায় ৷ আপনি টাকা পয়সা খরচ করে দাওয়াতের ব্যাবস্থা করেছেন, খামাখা নিজে এসবের মধ্যে যেচে পরে কোনো অতিথির বিরাগভাজন হওয়া আপনার ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ নেই ৷
আপনি যদি চালাকি করে রাজনীতির টপিক্স ঘুরিয়ে ক্রিকেট খেলার দিকে নিয়ে যেতে পারেন সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ ৷

৪. উপঢৌকণ বা গিফট: এটিও আরেকটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় ৷ আপাত দৃষ্টিতে এটি একটি তুচ্ছ বিষয় মনে হলেও, এই গিফট নিয়েও অনেকের মধ্যে ঝামেলা তৈরী হয় ৷ আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে গিফট নিয়ে অনেক সম্পর্কের অবনতি হতে দেখেছি ৷ আপনি যেটা পছন্দ করে যার জন্য গিফট কিনেছেন, উনার হয়তো পছন্দ হলোনা ৷ এই পছন্দ না হওয়ার ব্যাপারটি অনেকে আবার সরাসরি বলে ফেলেন ৷ যেমন: “ভাই/ভাবি কিছু মনে করেন না এই জিনিস আমাদের অনেক আছে, , আপনি এটা সাথে করে নিয়ে যান ৷ ” অথবা, : ভাবি , আমাদের বাসায় মিষ্টি কেউ খায়না. আপনি বরং বাসায় নিয়ে যান ৷ গিফট নিয়ে আরেকটি ব্যাপার হয় ৷ ইদানিং, দাওয়াতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায়, আমাদের ভাই/ভাবীরা অনেক সময় মেহমানদের আনা গিফট সযতনে রেখেদেন অন্য বাড়িতে দাওয়াতের সময় নিয়ে যাওয়ার জন্য ৷ এতে করে যেটা হয় , অনেক সময় গিফটগুলি কিছুটা পুরাতন হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চকচকে ভাব কমে যায়. আর তাতেই, দায়াতকারীর মাথায় আগুন ৷ “এত বড় সাহস, আমার বাসায় পুরাতুন জিনিস নিয়ে আসা ৷ আমাকে কি ফকির ভেবেছে ?” ইত্যাদি ইত্যাদি ৷

পরামর্শ: মনে রাখবেন, উপহার হিসাবে সবসময় ভালো জিনিস বেছে নিবেন. নিজের জন্য যেটা অগ্রহণযোগ্য অন্যের জন্য সেটা কিভাবে আশা করেন গ্রহণযোগ্য হবে? আর যিনি দাওয়াত করেছেন তাকে বলছি, প্লিজ উপহার নিয়ে মেহমানদেরকে বিচার করবেন না ৷ যে যেটা এনেছে, সেটাকেই সম্মান করুন ৷ পছন্দ না হলে অনেক কমিউনিটি অর্গানিজশন আছে , ডোনেশন করুন ৷ প্লিজ, উপহারের কোনো শেণীবিভাগ করবেননা ৷ উপহার উপহারই , সেটা ফুল হোক, রান্না করা বা কিনে আনা কোনো খাবার হোক, অথবা যেকোনো জিনিস হোক, উপহারদাতাকে কখনোই মনে কষ্ট দিবেননা ৷

৫ . খাবার মেনু : খাবার মেনু নির্বাচনও সম্পর্ক অবনতির আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ ৷ যেমন ধরুন, আপনি কাউকে তাঁদের মা/বাবা বা বয়স্কগোছের অতিথিকে দাওয়াত করেছেন তাদের কথা চিন্তা না করে অথবা বাচ্চাদের কথা চিন্তা না করে খাবারের মেনু সিলেকশন করলেন ৷ কোনো মেহমান নিশ্চয় চাইবেনা মা/বাবাকে অভুক্ত রেখে বা বাচ্চাদের অভুক্ত রেখে শুধু নিজেরা মজা করে খেয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন ৷ এনারাই সামনে সামনি আপনার খাবারের প্রশংসা করলেও বাড়ি যেয়ে আপনার দুর্নাম করবে ৷ আর এসব দুর্নামের কথা আপনার কানে গেলেতো আর রক্ষা নাই ৷ সম্পর্কের ১২টা বেজে যাবে ৷

পরামর্শ:সব ধরণের মেহমানের কথা চিন্তা করে খাবারের মেনু সিলেকশন করুন ৷ আজকাল বাচ্চারা পাস্তা খেতে পছন্দ করে. বাচ্ছাদের জন্য একটু চিকেন, একটু রঙ্গিন সবজি দিয়ে পাস্তা পরিবেশন করুন অথবা কিছুটা মশলা/ঝাল কমদিয়ে চিকেনের কোনো আইটেম রাখুন ৷ মুরুব্বিদের জন্য পোলাও-এর বাড়তি হিসাবে প্লেইন ভাত পরিবেশন করুন ৷ অবস্যই সবজির আইটেম রাখুন ৷ মাংসের পাশাপাশি মাছের আইটেম রাখার চেষ্টা করুন ৷

৬. দাওয়াতের রিমাইন্ডার ও ফলো-আপ : আমাদের মধ্যে সম্পর্কের চিড় ধরার ক্ষেত্রে এটিও আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ বলে আমি মনে করি ৷ আমরা অনেক সময় বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে দাওয়াত দিয়ে রাখি ৷ অনেকে কাজের ব্যাস্ততার মাঝে দাওয়াতের দিন/তারিখ সময় হয়তো ভুলে যান ৷ দেখাগেলো, যেহেতু আপনি আবার রিমাইন্ডার দেননি , তাই অপর পক্ষ হয়তো ভাবছেন, আপনি জাস্ট মুখ রক্ষার জন্য দাওয়াত দিয়েছেন, আন্তরিকভাবে দেননি ৷ তাই, হয়তো উনার দাওয়াতের কথা মনে থাকলেও নিজিকে অবজ্ঞা করা হলো এই অজুহাতে দাওয়াত কেন্সেল করলেন ৷ আবার উল্টাভাবে যদি দেখি, অনেকে ইদানিং খাবার ক্যাটারিং করেন ৷ আপ্নে আগে দাওয়াত কবুল করেছিলেন, কিন্তু শেষমুহূর্তে ক্যান্সেল করলেন ৷ এরকম অনেকে দাওয়াত ক্যান্সেল করলে দাওয়াতকারীর জন্য সমস্যা হয়ে যায় ৷ দাওয়াতের ফলো আপ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ৷ অনেক সময় কোনো বাসায় দাওয়াত খেয়ে এসে দাওয়াতকারীরকে কোনো সৌজন্যমূলক ফোন পর্যন্ত করা হয়না ৷

পরামর্শ: একজন মানুষ যখন দাওয়াতের আয়োজন করেন তার অনেক অনেক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ৷ এমন হয় , দাওয়াতকারী হয়তো কে জানে দাওয়াতের আয়োজনের জন্য সেদিন হয়তো কাজ থেকে ছুটি নিয়েছেন ৷ এ ছাড়াও, বাসা /ঘড় পরিষ্কার রাখতে হয়, দাওয়াতের রান্নার পাশাপাশি নিজের বাচ্চাদের দিকে নজর দিতে হয় ৷ আবার, মেহমানদের সাথে সময় দিতে হয় ৷ তাই, দাওয়াত খেয়ে আসার পরে একটি সৌজন্যমূলক ফোন অত্যন্ত জরুরি ৷

উপসংহার:
মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক হচ্ছে একটি মহান পবিত্র অধ্যায়. দাওয়াতের মতো অতিতুচ্ছ ব্যাপারনিয়ে আমরা যেন আমাদের সম্পর্ক নষ্ট না করি ৷

ছবি: google
পূর্ববর্তী নিবন্ধতুমি ছাড়া সবকিছু বড় বেমানান…
পরবর্তী নিবন্ধকানাডা কি স্বর্গ?
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন