মিসিগান থেকে:-

দুর্দান্ত প্রতাপশালী সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের মার্শাল’ল বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকেই পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের ছোট্ট একটা গ্রুপ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে । ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম খান , যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক ও কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতা কাজী আরেফ আহমেদ, এই তিন নেতার উদ্যোগে গঠিত হয় প্রথম গোপন সংগঠন ” নিউক্লিয়াস “। যা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ নামে আত্ম প্রকাশ করে । সিরাজুল আলম খান ছিলেন এর প্রধান তত্ত্বাবধায়ক। আবদুর রাজ্জাক ছিলেন আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে সমন্বায়ক এবং কাজী আরেফ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে স্বাধীনতার পক্ষে উদ্দীপনা সৃষ্টির কাজ করতে থাকেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, শেখ ফজুলল হক মণি ও এম এ মান্নান কে নিউক্লিয়াসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ক্রমান্বয়ে বাছাই করা শিক্ষক, ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের । তারা এত গোপনে নিউক্লিয়াসের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন যে, তদানীন্তন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাও এর সম্পর্কে জানতে পারে নি। ১৯৬২ থেকে ৭০ পর্যন্ত সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে সাত হাজার সদস্যকে নিউক্লিয়াসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ছাত্র – শ্রমিক -জনতাকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করাই ছিল এই গোপন সংগঠনের কাজ ।

# দেয়াল লিখন( চিকা মারা) নিউক্লিয়াসের উদ্ভাবিত প্রতিবাদের প্রতিক

# বাংলাদেশের প্রথম পতাকা তৈরি এবং তেশরা মার্চে উত্তোলন, নিউক্লিয়াসের অবদান

# সাতই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের শেষ লাইনটা বঙ্গবন্ধুর সাথে নিউক্লিয়াসের গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ” এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা

 

– লাল সালাম বাংলা মায়ের এই সূর্য সন্তানদের।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন