সেই ঘুরে ঘুরে আবারও ২৫ শে মার্চ এলো । কিছু না বলা কথা এখানে সবার সাথে ভাগ করে নিলাম।

একাত্তরের পঁচিশে মার্চ রাতের অভিজ্ঞতা একেক জনের একেক রকম ছিল। দেশে যারা ছিলেন তাদের একরকম, আর যারা দেশের বাইরে ছিলেন, তাদের অভিজ্ঞতা আরেক রকম। এখানে আমার অভিজ্ঞতা বলছি। মুক্তি যুদ্ধের সময়কার কথা।

সেই মার্চ মাসে, আমাদের ঢাকা শহরের ধানমন্ডির বাড়ির দোতালার ছাদে নতুন একটা পতাকা টাঙ্গানো হয়েছিল। পতাকাটি বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের সাতই মার্চের বক্তৃতার পর পরই বানানো হয়, আর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার জন্য অনেকের মত আমরাও বিন্দু মাত্র দ্বিধা না করে পতাকাটি আমাদের বাড়ির অসম্পূর্ণ দোতালার ছাদের একটি লোহার রডে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। সবুজ পতাকা, মাঝে লাল সূর্য আর সূর্যের মাঝে একটি মানচিত্র। নতুন বাংলাদেশের মানচিত্র। পতাকাটি ছাদের উপর লাগানোটাই অসম্ভব আনন্দের একটা ঘটনা ছিল । তখন আমাদের বাড়ির ঐ ছাদে যাবার কোন সিঁড়ি ছিলোনা। কেননা দোতালাটি সম্পূর্ণ ভাবে তখনও বানানো হয়নি। কিন্তু নির্মাণাধীন বাড়ির মত যেমন ইট বের হয়ে থাকে তেমনি ইটের সিঁড়ি ছিল। সেই ইট বেয়েই উপরে উঠা যেত। সেভাবেই উঠে সেই পতাকা লাগিয়ে ছিল আমার ভাই । মনে দারুন গর্ব অনুভব করেছিলাম সেদিন ভাইয়ের এই কাজ দেখে।

সেদিন রাতে, সাড়ে এগারো বা বারোটার দিকে যখন গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল, তখন বাবাকে চিন্তিত দেখলাম, মা কে অস্থির দেখলাম। ভাই বাড়ি নেই। বুঝলাম, সামনে অনেক বড় বিপদ আসছে। চারিদিকে বেশ শোরগোল, ট্যাঙ্ক, গোলাগুলির শব্দ যেন নিস্তব্দ্ধতাকে ভেঙ্গে দিচ্ছে।

রাত যত গভীর হচ্ছে, ততই যেন বুকের মধ্যে অশান্তির কাঁপুনি টা বেড়েই যাচ্ছে। কি হচ্ছে বাইরে, ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা । রাস্তার পাশেই আমাদের বাড়িটা ছিল । বেশ কয়টা গাড়ি চলে যাওয়ার শব্দ পেলাম । কতক্ষণ বেশ চুপ চাপ। হঠাৎ বাড়ির ভিতরের দরজায় আওয়াজ । বেশ জোরে । কারা যেন ভিতরে আসতে চাইছে। বাবা সন্তর্পণে দরজা খুললেন। চার পাঁচজন মাঝ বয়সী লোক বাবাকে একরকম ঠেলেই ঘরে ঢুকে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে বললেন, “তাড়াতাড়ি দরজাটা বন্ধ করে দিন। বাইরে মিলিটারি”। বাবা তাই করলেন। তারপর ওদের মধ্যে একজন জিগ্যেস করলো, “আপনার ছেলে আসেনি?” বাবা বললেন, “কোথা থেকে আসবে? কোথায় গেছে সে? আমরা তো কিছু জানিনা”। মা ভাইয়ের কথা শুনে পাগল প্রায়। কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেননা। সবাই আতঙ্কিত ।
এরই মধ্যে বাইরে মাইকে কারা যেন কি বলছে শুনতে পেলাম। বার বার একই জিনিস বলছে । কিন্তু বোঝা যাচ্ছেনা। বাবা সবাইকে চুপ করে শুনতে বললেন। শুনতে পেলাম, পতাকা নামাবার নির্দেশ, নয়তো বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেবে। কি উপায়? ভাইও তো বাড়িতে নেই, কে নামাবে? সিঁড়িও নেই, এত রাতে কি ভাবে ঐ ইট বেয়ে উপরে উঠব? কে উঠবে? বাবা আমাকে জিগ্যেস করলেন পারবো কি না। সাহস নিয়ে বললাম, “পারবো”। উপায় নেই, নয়ত কে যাবে?

কি ভয়ঙ্কর সেই স্মৃতি! উপরে উঠে দেখি চারিদিকে আগুনের লেলিহান। তখনকার দিনে ধানমণ্ডিতে উঁচু দালান খুব কমই ছিল। তাই, অনেকদূর পর্যন্ত দেখতে পেলাম। মনে হল, তেজগাঁও বিমানবন্দর, মোহম্মদপুর, রায়েরবাজার, আজিমপুর, পিল খানা, ইউনিভার্সিটির হল – সব জায়গায় আগুন জ্বলছে। আগুনের বলের মত কি সব যেন মাথার উপর এক দিক থেকে অন্য দিকে ছুটে যাচ্ছে।

ভয়ে মাথা নিচু করে, ইট ধরে ছাদে উঠলাম। চারিদিক অন্ধকার, কিন্তু আগুনের লাল আলোয় থেকে থেকে কোথায় উঠছি, তা দেখছিলাম। উপরে উঠলাম। আমি একা। মনে হোল, আগুনের বল গুলো আমার মাথার উপর এই এখুনি পড়বে।

কুঁজো হয়ে পতাকার কাছে গেলাম। রাস্তায় তখনও মাইকে বলে যাচ্ছে, “পতাকা খুলুন”। আমি কাঁপছি। বাবা নীচে দাঁড়িয়ে চাপা গলায় বললেন, “তাড়াতাড়ি কর”।

মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পতাকাটি কাঁপা হাতে খুলে নিয়ে নীচে আসলাম। চারিদিকের আগুন আর বিকট শব্দ পরিবেশটিকে কেমন যেন যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে দিয়েছিল।

আজ এত বছর পরেও সেই স্মৃতি যেন ভীষণ জলন্ত। কষ্টটা যেন অতি তীব্র।

কারো চোখে ঘুম নেই। সবাই ভয়ে, আতঙ্কিত হয়ে বসে আছি। হয়ত সকাল হবার অপেক্ষায়।

ভোর হয়ে আসছে। ঘুমের ভাবটা চোখে লেগে এসেছে, তখনই শুনি, কে যেন জানালার ফাঁক দিয়ে চাপা স্বরে ডাকছে, ”মা, মা”। মা দৌড়ে গেলেন, আর কেউ নয়, তার একমাত্র ছেলে। আমাদের ভাই। সাথে তার দুই তিন জন বন্ধু। শরীরে কাঁদা মাখা, লাল চোখ। ভয় পেয়েছে তেমন চেহারা । ভীষণ ক্লান্ত । মা তাদের ঘরে ঢুকালেন । অনেক প্রশ্ন । “কোথায় ছিলি? এই অবস্থা কেন তোদের? কি হচ্ছে বাইরে? তোরা কি কিছু জানিস”? ধীরে ধীরে তাদের মুখে সব শুনে সবাই স্তব্ধ।

সংক্ষেপে সে রাতের ঘটনা বলি। ২৫শে মার্চের রাতেই ভাই, তার বন্ধুরা ও পাড়ার লোকজন জানতে পারে যে পাকিস্তানী আর্মিরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বন্দী করতে আসছে, আর সে কাজে বাঁধা দেবার জন্য তারা সোবহানবাগ মসজিদের সামনের রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছিল । কেউ বুঝতে পারেনি, আর্মিরা যে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়বে, ট্যাঙ্ক নিয়ে রাজপথে আসবে! পাকিস্তানী আর্মিদের হঠাৎ এই আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে তারা যে যেদিকে পেরেছে ছুটে গিয়েছে, ঝাঁপ দিয়েছে রাস্তার পাশের ড্রেনের মধ্যে, লুকিয়ে থেকেছে সারা রাত ঐ নোংরা অন্ধকারে। কেউ কেউ দৌড়ে আশে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সারা রাত ঐ ভাবে কাটিয়ে, ভোরের দিকে সাহস নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিল বাঙ্গালি কিছু দামাল ছেলে।

২৬ শে মার্চের সকাল থেকে ঢাকায় জারি হয়ে গেল “কার্ফু”।
“মুক্তিযুদ্ধ” – এই ভাবেই তো শুরু । তখনও জানিনা এই যুদ্ধ কত দিনের, কত মাসের, কত বছরের। আমাদের অনিশ্চিয়তার দিনগুলোর শুরু। কি হবে আমাদের ভবিষ্যতের? কি হবে দেশের? কোথায় বঙ্গবন্ধু ?

কিই বা বুঝতাম ঐ বয়সে ? বেশি কিছু না। তবে, এতটুকু বুঝতাম, বঙ্গবন্ধু এক স্বপ্নের কথা বলেছেন, স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন। সেই ডাক যেন প্রতিটি বাঙ্গালির প্রানকে নাড়া দিয়েছিল। একটা সংগ্রাম করার শক্তি মনের ভিতর গেঁথে দিয়েছিলেন। “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম …”। কি শক্তিশালী সেই বাণী!

আজ যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা ভাবি, সেই নয় মাসের কথা ভাবি, কত স্মৃতি, কত ঘটনা, কত বলা, না বলা কথা মনে পড়ে যায়। বাবাকে দেখেছি, তার উঠতি বয়সী তিন কন্যা আর এক ছেলেকে নিয়ে কত মানসিক চাপ, অনিশ্চয়তার যন্ত্রণায়, কত অস্থিরতায় দিন কাটিয়েছেন। মা কত আশা, কত স্বপ্ন নিয়ে ছেলেমেয়েদেরকে কাছে নিয়ে স্বাধীন হবার দিন গুনতেন। আমরা যেন একটা স্রোতের মধ্যে ভেসে যাচ্ছিলাম। কখনও শান্ত, কখনও অশান্ত।

মুক্তিযুদ্ধ কেমন যেন একটা যুদ্ধ, আবার যুদ্ধও নয়। কখনও কখনও পাকিস্তানী আর্মিরা সব স্বাভাবিক বলে চালাতে চাইতো। কিন্তু রাতে যখন লুকিয়ে লুকিয়ে রেডিও তে “চরম পত্র” শুনতাম, তখন বুঝতাম, যুদ্ধ চলছে। আবার ওদিকে যখন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি খুলে দিয়ে আমাদেরকে যেতে বলতো, তখন যেন যুদ্ধ ভাবটা থাকতোনা। বন্ধুদের সাথে দেখা হবে। সে আনন্দেই যেতাম। কিন্তু সব যেন কেমন অস্থির লাগতো।

১৪ই অগাস্ট । পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। আমাদের বাড়ির সামনে দিয়েই সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজ যাচ্ছে। আমি দোতালার জানালায় বসে বাবার ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললাম। কি জানি কেন মনে হোল, আমাদের দেশে পাকিস্তানীদের এইটাই শেষ কুচকাওয়াজ । আজ সেই ছবিগুলো (প্রথম দুইটা ছবি) এত বছর পর আমার পুরনো অ্যালবাম ঘেঁটে বের করলাম। কত স্মৃতি, কত কথা মনে পড়ে গেল।

দিন গড়িয়ে যাচ্ছে। মাস গড়িয়ে যাচ্ছে। অস্থিরতা বাড়ছে। মুক্তিযোদ্ধারা এদিক ওদিক অনেক এগিয়ে যাচ্ছেন। সাহসের সাথে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাক-সেনাদের সাথে মোকাবেলা করছে্ন । বেশির ভাগ খবর “চরম পত্র” মারফৎ পেতাম। আমরা মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য ঔষধ, কাপড় চোপড়, শুখনা খাবার তৈরি করে রাখতাম। একদল এসে উপকরন দিয়ে যেত, আবার আরেক দল এসে তৈরি জিনিস নিয়ে যেত। কোথায়, কিভাবে, কাদের জন্য কিছুই জানতাম না। শুধু কাজ করে যেতাম। ভাইদের সাহায্য করতাম।

কতবার পাক-সেনাদের হাতে ধরা পরতে পরতেও বেঁচে গিয়েছি আমরা। অন্তর্যামী মেহেরবান। সে অনেক গল্প।

সময় যেন কাটতোনা। দিন রাত কেবল ভাবি কবে সব স্বাভাবিক হবে? কবে আমরা স্বাধীন হব? কবে বঙ্গবন্ধু মুক্তি পাবেন?

এভাবেই নভেম্বর মাস এলো।

একটা অস্বাভাবিক অবস্থা, অস্বাভাবিক দেশকে পাকিস্তানের শাসকরা স্বাভাবিক বলে চালিয়ে দিচ্ছিল। বহির্বিশ্ব অন্ধকারে ছিল। তারা জানতোনা বাংলাদেশের (তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের) উপর পাকিস্তানী শাসকরা কি যে নির্যাতন করে যাচ্ছিল। ঐ সময় পর্যন্ত ভারত ছাড়া বাংলাদেশকে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। কত নির্দোষী মা, বাবা, ভাই, বোন, শিশু খুন হয়ে গেল, কত নারী সতীত্ব হারালো, ধর্ষিত হোল। একে একে দেশের চিকিৎসক, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক গায়েব হয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁদের খুন করে বধ্যভূমিতে নিক্ষেপ করা হচ্ছিল।

মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যকলাপ কিছুটা হলেও বাইরের অনেকে জানতো। কিন্তু কারো পক্ষে কোন কিছু করা সহজ ছিলনা, কেননা পাকিস্তানী শাসকরা খুব ভাল করে প্রচার করছিল, “এখানে সব স্বাভাবিক”।

এরই মধ্যে পাকিস্তানী এক সাংবাদিক (টনি মাসক্যারেনহাস, ১৯২৮-১৯৮৬) বাংলাদেশে এসেছিলেন – এই দেশের উপর ইতিবাচক একটা রিপোর্ট লেখার দায়িত্ব নিয়ে। কিন্তু তিনি যা দেখে গেলেন, তা লিখতে পারলেন না। কেননা, সেটা লিখলে পাকিস্তানের পত্রিকায় যে তা ছাপা হবেনা, তা’ তিনি ভাল করেই জানতেন। পাকিস্তানে তাঁর ও তাঁর পরিবারের জীবনের ঝুঁকি ছিল। তিনি পরিবার সহ লন্ডনে চলে যেতে বাধ্য হলেন।

লন্ডনের নাম করা “সানডে টাইম্‌স” পত্রিকায় টনি তাঁর রিপোর্ট ছাপালেন। এই প্রথম সারা বিশ্ব জানলো আমাদের দেশের করুন অবস্থা। পাকিস্তানী শাসকদের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড । টনির রিপোর্ট একটা আলোড়ন করতে সাহায্য করল। সাহায্যের হাত বাড়ালো অনেক দেশ। আমরাও সুযোগ পেলাম দেশের জন্য প্রত্যক্ষ কিছু করার। সে এক পরম পাওয়া । দিকে দিকে জেগে উঠল দেশ স্বাধীন করার প্রচণ্ড আহবান। প্রতিটি বাঙ্গালি হয়ে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি সব বন্ধ করার নির্দেশ এলো মুক্তিবাহিনীর নেতাদের থেকে। আমরা কাজে নেমে পড়লাম। উদ্দেশ্য, সারা বিশ্বকে জানানো আমাদের দেশটিতে একটি অস্বাভাবিক পরিবেশ বিদ্যমান। “দেশের মানুষকে বাঁচাও। পাকিস্তানী শাসকদের হটাও”।

তিন নম্বর ছবিটি ১৯৭১ সনের ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখে তোলা, যেদিন ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায় IAF (ইন্ডিয়ান এয়ার ফোরস) বম্বিং করেছিল। ভাইয়ের ক্যামেরায় বন্দি হোল আমাদের বাড়ির পিছনের বাগান (এখন A.R.Plaza), আর পাশের বাড়ির নারকেল গাছ । দূরে, মানিক মিয়া অ্যাভেন্যু , তার বাঁ পাশে বোমার সাদা ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।

এর কিছুদিন পরেই দেশ স্বাধীন হোল। শত সহস্র শহীদের রক্তের বিনিময়ে ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে দেশে বিজয়ের আনন্দ এলো। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। লাল সবুজের পতাকা এবার নিজেই দোতালার ছাদে টাঙ্গিয়ে দিয়ে আসলাম। আহা, কি আনন্দ ! কি চরম পাওয়া। মনের ভিতরে যে যন্ত্রণাটি এতদিন লুকিয়ে ছিল, তা’ মুক্তি পেল।

টনি মাসক্যারেনহাসের সাথে দেখা হয়েছিল দেশ স্বাধীনের পর। একটা অটোগ্রাফও দিয়েছিলেন। “চরম পত্রের” এম, আর, আক্তার মুকুল ভাইয়ের সাথেও দেখা হয়েছিল। তিনিও অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন। আজও যত্ন করে তোলা আছে সেই অটোগ্রাফগুলো। ছবিতে দেখুন।

৪৭ বছর পর আজও যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা ভাবি, তার কিছু জিনিস অন্তর দিয়ে ভালবাসি। নিজের অজান্তেই সেগুলো যত্ন করে রাখি। দেশ স্বাধীন হয়েছে, তা’ দেখে যেতে পেরেছি। এর চেয়ে বেশি তো তখন আর কিছু চাইনি । বেশি চাইবার বয়সও ছিলনা। এখনও দেশ থেকে চাওয়ার কিছু নেই।

 

 

একটি ডাক, একটি কণ্ঠ সবাইকে ডেকেছিল । আমাকেও । সে ডাকে শুধু সাড়া দিয়েছিলাম।

“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”।
জয় বাংলা।

নাজমা কবির

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন