অক্সফোর্ড ডিক্সনারী অনুযায়ী ক্যারিয়ার-এর অর্থ “course or progress through life”। অর্থাৎ বাংলা করলে দাঁড়ায় জীবন ব্যাপি উন্নয়ন। আর তাই কারিয়ার কখনই এক জায়গায় থেমে থাকার বিষয় নয়। কারিয়ার হচ্ছে বহমান স্রোতের মত গতিশীল যা বয়ে বেড়ায় এক জায়গা থেকে অরেক জায়গায়, এক দেশ  থেকে ভিন দেশে। এই খানেই ইমিগ্রান্ট-এর সাথে ক্যারিয়ার এর যোগসূত্র। একজন ইমিগ্রান্ট একটি দেশে জন্মগ্রহণ করে, সে দেশের আলো বাতাসে বেড়ে ওঠে, তিল তিল করে পরশ্রম করে গড়ে তলে নিজের কারিয়ার। পরবর্তিতে অন্য একটি দেশে পারি জমায়, উন্নত জীবনের আশায়, ভাগ্য পরবর্তনের সন্ধানে। পাঠক, এই লেখায়, কারিয়ার বলতে মূলত পেশা ভিত্তিক কারিয়ারকে বুঝানো হয়েছে। পেশা ভিত্তিক কারিয়ার নির্ভর করে পারিপার্শিক চাহিদা, নিজের কর্ম দক্ষতা, ভাললাগা, পরিবার ইত্যাদিঅনেক বিষয়ের উপর। আর তাই, একজন ডাক্তার যেমন ভিনদেশে এসে নতুন করে কারিয়ার শুরু করেন ফার্মেসি সেক্টরে, একজন কৃষিবিদ হয়তো তাঁর কারিয়ার  শুরু করেন settlement সেক্টরে-এ অথবা একজন  architect যিনি বিল্ডিং বিষয়ে ভালো জানাশোনা, তিনি শুরু করে দেন নিজস্ব real estate -এর বাবসায়। এই লেখায় একজন ইমিগ্রান্ট হিসাবে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তাই আমি তুলে ধরার চেষ্টা করব ইমিগ্রান্টদের জন্য কারিয়ার-এর আবশ্যকতা এবং টিপস যা অনেকের জন্য কাজে লাগতে পারে।

ইমিগ্রান্টদের  জন্য কারিয়ার-এর আবশ্যকতা নির্ভর করে মূলত নির্দিষ্ট ইমিগ্রান্ট বাক্তির এবং তার পরিবারের প্রতিটি মানুষের  চাহিদার উপর, রুচির উপর এবং সামর্থ্য-র উপর। সব পেশা-র উপর সম্মান রেখায় বলছি, উন্নত দেশে একটি কথার খুব চল আর সেটা হলো “survival jobs”। একজন ইমিগ্রান্ট সেট হয়ের জন্য কিছু বছর হয়তো survival job করে চালিয়ে নিতে পাড়েন। তবে বছরের পর বছর ধরে এসব চাকুরী চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেকের জন্যই বেশ কঠিন হিয়ে পড়ে। অনেকে আবার নতুন করে কোনো চ্যালেঞ্জিং কারিয়ার না করেও survival job করে বাড়ি, গাড়ি, সন্তান লালনপালন করে বাকি জীবন কেটে দিতে পাড়েন। কিন্তু, ফেলে আসা দেশে কঠোর পরিশ্রমে গড়া কারিয়ার এর কথা ভেবে নিজে কষ্ট পান. কোনো কাজে মন বসাতে পারেননা। অনেক ইমিগ্রান্ট আবার আত্মসম্মানের কথা ভেবে অথবা বয়স বা শারীরিক অবস্থার কারণে কোনো survival job-এ না ঢুকে দেশ থেকে আনা টাকাপয়সা শেষ হবার পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। না পাড়েন স্বদেশে চলে যেতে না পাড়েন দেশের অত্তীয়শ্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার নিতে। অনেকে আবার দো-টানায় পড়ে চলেও যান নিজদেশে, নিজ পেশায়। আবার অনেকে, কোনো সম্মান জনক কাজে ঢুকতে না পেড়ে বাধ্য হয়ে উন্নত দেশের বেকার ভাতা নিয়ে বসরের পর বছর  কাটিয়ে দেন।  সেখেত্র্রে ফেলে আসা দেশের মত হয়তো সেই সম্মান পাওয়া যায়না সমাজ থেকে, বন্ধু বান্ধব থেকে, এমনকি নিজের পরিবারে কাছ থেকে। একজন কর্মজীবী বাবা অথবা মা যিনি নিজ দেশে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জীবন শুরু করেছিলেন ভিনদেশে এসে  ফিবসর সরকারী অনুদানে চলতে থাকে বাকি জীবন, আর  ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে ছাই হতে থাকে নিজের বাক্তিত্ব। যার প্রভাব পড়ে স্বামী-স্ত্রী-র সম্পর্কে অথবা parenting -এ। যে সোনার হরিনের আশায় ভিনদেশে আসা হয়েছিল তা হয়ে যায় বিষাদময়। এমনকি অনেকে আবার পরিবারের মধ্যে কলহ বিবাদে  জড়িয়ে পরেন। আর উন্নত দেশে পারিবারিক কলহের কারণে শ্রীঘরে পর্যন্ত যেতে হয় এসব কারণেই, শান্তির জন্য,সুখের জন্য, সম্মানের জন্য  ইমিগ্রান্টদের   কারিয়ার গঠন অত্যন্ত আবশ্যক হয়ে পড়ে।

কারিয়ার গঠনের আত্ম-উপলদ্ধি আসার পরে প্রথমে যেটা করতে হবে তা হলো সবার আগে চিন্তা করতে হবে আপনের previous educational background. আপনের background যদি টেকনিকাল লাইন হয়ে থাকে যেমন ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/ এগ্রিকালচার/ফার্মাসী, সেক্ষেত্র্রে আপনাকে অবস্যই লাইসেন্সএর জন্য বিভিন্ন ধাপে ধাপে নিজ নিজ প্রফেশনাল লাইন-এর বিভিন্ন পরীক্ষা দিতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষার ফি অনেক অর্থ বহুল। এসব প্রফেশনাল লাইন-এর পরীক্ষার ফি-এর জন্য OSAP(Ontario Student Assistance Program, this is a government loan)প্রযোজ্য নয়। এমনকি বেসরকারিভাবে প্রফেশনাল লাইন-এর পরীক্ষার জন্য অনেক প্রস্ততিমুলোক কোচিং-এর ব্যবস্থা আছে যা আরো অর্থ বহুল। অনেকে দেশ থেকে আনা টাকা থেকে এসব খরচ বহন করেন. অনেকে আবার পরীক্ষার ফি-এর জন্য survival job-এ যুক্ত হয়ে পড়েন। তবে survival job মানেজ করে প্রফেশনাল পরীক্ষায় উর্তীর্ণ হওয়া অনেক কষ্টকর। বিকল্প হিসাবে অনেকে প্রফেশনাল লাইন-এর পরীক্ষার জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ কোনো বিষয়ে কোনো কমিউনিটি কলেজে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়েন OSAP  পাবারজন্য। OSAP পাওয়ার  পরে অন্তত বাড়ি ভাড়া বা থাকা/খাওয়ার জন্য চিন্তা করতে হয়না। অনেকে আবার একেবারে যেনতেন বিষয় না পড়ে এমনকোন বিষয় পড়েন যা পরবর্তিতে  প্রফেশনাল  লাইন-এ কাজে লাগে। অনেকে আবার পরীক্ষার ফি-এর জন্য এবং থাকা/খাওয়ার জন্য অস্থায়ী ভাবে সোসাল Free Social assistance নিয়ে থাকেন যা অনেক বুদ্ধিমানের  কাজ। লাইসেন্স পাওয়ার পর চাকুরী হয়েগেলে Free Social assistance থেকে আবার বের হয়ে আশা যেতে পারে।

নিজের অভিজ্ঞতার  আলোকে কানাডা-তে যা দেখেছি এখানে (Canada) বিভিন্ন পেশার ইমিগ্রান্টরা কারিয়ার-এর জন্য আদা জল খেয়ে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করতে থাকেন। যেমনডাক্তারদের ক্ষেত্রে অনেকে লাইসেন্স (Residency)-এর ঝামেলায় না গিয়ে Health Science /Radiology / Medical Assistance/ Nutrition ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ৩/৪ বসরের ডিপ্লোমা বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়েন যা বেশ কার্যকরী। ফার্মাসিস্ট-এর ক্ষেত্রে লাইসেন্স -এর ঝামেলায় না গিয়েও বা লাইসেন্স -এর পরীক্ষায় উর্তীর্ণ না হলে অনেকে ফার্মেসী/ টেকনিশিয়ান / ফার্মেসী অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়ে ৩/৪ বসরের ডিপ্লোমা করে professional job-এ ঢুকে পড়েন। কৃষিবিদের ক্ষেত্রে অনেকে Biotechnology -র উপর ডিপ্লোমা করে পর বিভিন্ন laboratory- -তে ঢুকে পড়েন।

একাউন্টিং/ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রে bridging program বেশ কার্যকরী। বিভিন্ন  non-profit Agency এসব bridging program পরিচালনা করে থাকে। যেমন টরেন্ট-তে আরো অনেক Agency-র মত ACCESS EMPLOYMENT নামে একটি non-profit Agency আছে যা  একাউন্টিং/ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রে সুন্দর bridging program পরিচালনা করে। তবে এই  প্রোগ্রামে ঢুকতে হলে CLB (Canadian Language Benchmarks) ভালো মার্কস থাকতে হয়।

যারা দেশ থেকে social workএর উপর ডিগ্রী নিয়ে এসেছেন অথবা দেশ-এ NGO -তে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন তাদের জন্য  সুখবর হলো তাঁরা  IESW নামে একটি প্রোগ্রাম আছে RAYERSON UNIVERSITY, টরন্টো -তে। এখানে  এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। এ ছাড়াও, সোশ্যাল ওয়ার্কার  হিসাবে কাজ করতে হলে আপনি কমিউনিটি কলেজ থেকে SSW (Social Service Work) -এর উপর দুই বছরের ডিপ্লোমা করতে পারেন। মানসিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে চাইলে আরো অনেক কলেজের মত জর্জ ব্রাউন কলেজে আপনে MENTAL HEALTH CASE MANAGEMENT-এর উপর এক বছরের ডিপ্লোমা করতে পারেন। এক্ষেত্র্রে সুবিধের দিক হলো প্রতিটি ক্লাস শুরু হয় সন্ধার পরে এবং কোর্স ফি খুব বেশি না।

পাশ্চাত্য দেশে ইমিগ্রান্টদের কারিয়ার-এর জন্য যে বিষয়  সবচেয়ে জরুরি তাহলো দীর্ঘকালীন এবং স্বল্পকালীন লক্ষ্য স্থির করা. লক্ষ্য স্থির করার ক্ষেত্রে SMART ফর্মুলা (S= specific, M= measurable; A= Attainable; R= realistic; T= time frame) বাবহার করা যেতে পারে।

ধরা যাক,জনাব “ক” যিনি দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশ্যাল ওয়ার্ক -এর উপর পড়াশুনা করে দীর্ঘ ৫ বসর বাংলাদেশে NGO লাইন- এ কাজ করে সম্প্রতি Canada—র টরন্টোতে LANDED IMMIGRANT হিসাবে এসেছেন। তাঁর জন্য দীর্ঘকালীন সময়ের লক্ষ্য  স্থির হওয়া উচিত অনেকটা এরকম  “আগামী ৪/৫ বসরের মধ্যে এখানে সোশ্যাল সার্ভিস সেক্টরে প্রফেশনাল চাকুরী-তে যোগদান করা”.  সেক্ষেত্রে তাঁর জন্য কার্যক্রম হবে:

১. আশেপাশে কোনো এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সী-তে যেমন ACCESS EMPLOYMENT, CAREER FOUNDATION, SKILLS FOR CHANGE, MICRO SKILLS, HUMBER EMPLOYMENT CENTER- তে  যোগযোগ করে Canadian employment market  বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নেয়া

২. IESW-র জন্য RAYERSON UNIVERSIT-তে যোগাযোগ করা

৩. Community based college যেমন Humber college, Seneca college, George Brown college- -এ Social Service Work- এর উপর ডিপ্লমা-র জন্য যোগাযোগ করা

৪ ক্লাস শুরু-র আগে বসে না থেকে যে বিষয়ে চাকুরী করতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে ভলান্টিয়ার করার জন্য   ইন্টারনেট সার্চ করা এবং ভলান্টিয়ার শুরু করা. এখানে উল্লেখযোগ্য, volunteer-এর জন্য  211toronto.ca  বেশ ভালো website.

৫. পরা লেখা শেষের দিকে এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সী-তে সাথে আলাপ করে ভালো RESUME তৈরী করা

—— ইত্যাদি ইত্যাদি

প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং. বিশেষ করে ইমিগ্র্যান্ট ভাই/বোনেরা যারা পরিবার পরিজন নিয়ে ভিনদেশে থাকেন, তাদের শুধু কারিয়ার নিয়ে সারাক্ষণ ভাবলে চলেনা. তাদের চিন্তা করতে হয় বাড়ি ভাড়া, বিল, খাওয়া দাওয়া/কাপড় চোপর/ সন্তান লালন পালন ইত্যাদি যা অনেক কষ্টসাধ্য, আর তাই কবি বলেছেন ” কাটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুখবিনা সুখলাভ হয়কি মহিতে!!”

এছাড়াও  ভালো কারিয়ার-এর জন্য এমনকি ভিনদেশে স্বাভাবিক চলা ফেরার জন্য  ড্রাইভিং  শেখা আরো একটি খরচে বিষয়। এসব কিছু মানেজ করে কারিয়ার-এর জন্য সময় বের করা সত্তিই বেশ চ্যালেঞ্জিং.. আর একবার কারিয়ার গড়তে পারলে আরকোন চিন্তা নেই। বিশ্বাস করুন, আমি এক যুগ ধরে টরেন্ট-তে থেকে দেখেছি বাংলাদেশের অনেক ভাই/বোনেরা ভালো ভালো জায়গায় সরকারী/বেসরকারী লাইনে বছরের পর বছর কাজ করে আসছেন. আপনিও পারবেন তাদের মত। শুধু চাই চেষ্টা, self determination এবং একটি সুন্দর গোছানো বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা।

সবশেষে, যে কথাটি বলব কারিয়ার-এর  জন্য একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘networking’  যার মাধ্যমে আপনি অনেক সময় অনেক ভাল ভালো কারিয়ার-এর তথা চাকুরীর খোজ পেতে পারেন। তবে সাবধান কারো পরামর্শ  যাচাই করার আগে, নিজে internet search করুন,  নিজে ফোনে কথা বলুন অথবা কোনো community based social service organization-এ যোগাযোগ করুন। ভুলে যাবেননা দুষ্ট বন্ধুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। একথাটি এজন্য জোর দিয়ে বলছি, আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ভিনদেশে অনেকে অনেকের সত্যিকার অর্থে ভালো চায় না। কোনো কিছু কারো কাছ থেকে শোনার পরে কোন Institution থেকে যাচাই করুন। যাচাই করুন আপনের বুদ্ধিদীপ্ত ক্ষুরধার মস্তিষ্ক দিয়ে, জীবন সংগ্রামের অভিজ্ঞতার আলোকে, সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি একা এবং আপনের পরিবার। ভেবে, চিন্তে, ধীরে সুস্থে. সফল হোক আপনের কারিয়ার!!!!!!

পরবর্তী আকর্ষণ :

পর্ব ২ :  ইমিগ্রান্টদের  জন্য ভালো  Resume তৈরী করা

পর্ব ৩ : চাকুরী অনুসন্ধান/Job search

পূর্ববর্তী নিবন্ধকানাডাতে প্রফেশনাল চাকরি – বাস্তবতা এবং কিছু সম্ভাব্য ইঙ্গিত
পরবর্তী নিবন্ধBeauty
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

১ মন্তব্য

  1. সুবিশাল তবে তথ্যসমবৃদ্ধ লেখা, পরবর্ পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন