১৯৭১ এর বাংলাদেশ ছিল লাখো শহিদের রক্তঝরা অর্জনের ইতিহাস। স্বাধীনতার ইতিহাস আজীবন কথা বলে। বাংলার রক্তিম ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত ও উজ্জীবিত করে। স্বাধীনতার মাস মার্চের উল্লেখযোগ্য ঘটনা প্রবাহই কালক্রমে রূপ নেয় আমাদের প্রানপ্রিয় স্বাধীনতা। এই উপলক্ষে প্রত্যয়ের প্রধান কার্যলয়ে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আোয়জন করা হয় এতে টরন্টোর বিশিষ্ট সুধীজনেরা উপস্হিত ছিলেন।

উপস্হিত সকলের অংশগ্রহনে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে এবং প্রত্যয় সাধারন সম্পাদক কামরু ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম বনি‘র উপস্থাপনায় আর সাংষ্কৃতিক সাম্পাদক মৌ বেগমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শুরু হয় মুল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপচে-পড়া বিশিষ্ট জনদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রত্যয় উপদেষ্টা মন্ডলীর মধ্যে জনাব ইন্জিনিয়ার নিয়াজ খান, বেরিষ্টার ওমর জাহিদ আল হাসান, বিশিষ্ট সংগঠন আব্দুল হামিদ, সংগঠক ফয়জুল করিম, সাংবাদিক বাবলো চৌধুরী । অনুষ্ঠানে সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন প্রত্যয় এর সভাপতি ইন্জিনিয়ার ওমর ফারুক ভাইয়ের নেতৃত্বে প্রত্যয়ী নিয়মিত সদস্য আজিজা ফারুক, হুসনেআরা মনি, রাজিয়া চৌধুরী লিপি, কামনা ইসলাম, মৌ বেগম, তাজুল ইসলাম বনি, দেওয়ান হক ও কামরু ভূঁইয়া। মনোমুদ্ধকর কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট লেখিকা ও কবি মৌ মধুমন্তী, শাহীন পারভিন ও অটোয়া থেকে আগত কবি সুলতানা শিরিন সাজি।

সন্ধ্যা থেকে ভোর অবদি প্রত্যয়ী অনুষ্ঠানে গানে-গানে ও নাচে মাতিয়ে রাখেন স্বনামধন্য শিল্পী মুন্নী ও আফজাল সোবহানী যুগল, ওমর ও আজিজা ফারুক যুগল, শিশু শিল্পী অভিরাজ, অংকিতা, বিনীতা ও তাদের বাবা বিপ্লব কর্মকার, রবার্ট বৌদ্ধ দা, উদীচি ও লালন খ্যাত হাসমাত চৌধুরী জুঁই ও টরোন্টোর গুরু খ্যাত লিটন আলম। অনুষ্ঠানে তবলায় ছিলেন ভানু গোমেজ ও বাংলার ঢোলে ছিলেন রবার্ট দা। অনুষ্ঠানে ছিল প্রত্যয় সদস্যদের রান্নাকরা মজাদার সব স্নেক্স ও ডিনার। পরিশেষে ভোর রাত অবদি সবার উপস্থিতি ও প্রানবন্ত সব প্রত্যয়ীদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রমিনেন্টকানাডার কানাডার সাংষ্কৃতিক সম্পাদিকা মৌ বেগম।

টরন্টোয় প্রত্যয় স্বাধীনতা ও নারী দিবস পালিত

Posted by Hafizur Rahman on Sunday, March 31, 2019

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন