“বসন্ত বাতাসে সইগো বসন্ত বাতাসে,
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে সইগো,বসন্ত বাতাসে…..”
গত ৩রা মার্চ শনিবার , ৯ ডজ রোডে প্রত্যয়ের বসন্ত মেলা  টরোন্টোর প্রতিটি বাঙালীর মনে যে বসন্তের ফুলের সুবাসে ভরে দিয়েছিলো , তাতে কারো সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নাই। প্রত্যয়ের এই আয়োজনে  সত্যিকার প্রশংসার দাবী রাখে। বিশেষ করে প্রত্যয়ের প্রতিটি সদস্যদের মধ্যে যে আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না – এটাই হয়তো প্রত্যয়ের বিশেষত্ব। কাউকে বিশেষ ভাবে প্রশংসা করে অন্যদের ম্লান করার কোনো অবকাশ নাই। সেখানে।তবে সার্বিক তধ্যাবোধনের জন্য কামরু ভাইকে ধন্যবাদ জানাই।

কামরু ভাইয়ের কাছ থাকে অনেক দিন আগেই অনুষ্টানের দাওয়াত ছিলো .. অপক্ষায় ছিলাম , বসন্ত উৎসবের জন্য। কিন্তু অন্য আর একটা অনুষ্ঠানের জন্য একটু দেরীতে পৌছুলাম বসন্ত মেলায় । রাত প্রায় সাড়ে আটটায় যখন পৌছুলাম, বসার কোনো আসন খালি নাই। হলের পিছনের অংশে অনেকেই দাড়িতে অনুষ্টান উপভোগ করছেন। কিন্তু কারো মাঝে কোনো অভিযোগ নাই , ভালো লাগার মতো একটা পরিবেশ। অনেকেই গানের তালে তালে দুলছেন। মনে হলো বাংলাদেশে কোনো অনুষ্ঠানের কোনো ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।

 

জানিনা অনুষ্ঠান মালা কে সাজিয়েছেন , তবে একটা কথা অনিস্বীকার্য – একটি নিপুন হাতের কারুকার্য , যার প্রশংসা অনেক কিছুর উর্ধে। গান , নাচ , কবিতা , বাঁশি আর ফ্যাশন শো। সব মিলিয়ে প্রত্যয়ের ” দৃঢ় প্রত্যয়” আর টরোন্টোর সংস্কৃতির অঙ্গনে এক “নতুন আগমনী বার্তা”।

 

 

 

 

আশাকরি আগামীতে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে আমাদের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে প্রত্যয়ের এই অগ্রযাত্রা শুভ হোক। পরবাসী ব্লগের পক্ষ থেকে প্রত্যয়ের প্রতিটি সদস্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা।

আরো ছবির জন্য ক্লিক করুন:- ফেসবুক এ্যালবাম

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন