কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সেই মানুষগুলি , কেউ তা জানে না। কখন হারিয়ে গেছে তারও খোঁজ হয়তো কেউ রাখেনা । সমস্ত বিশ্বজুড়ে খুবই অভাব “সেই মানুষটির ” । অন্যায় অত্যাচার আর অবিচারের কাছে বন্দী আমরা সবাই। এই গণ্ডি থেকে কে আমাদের বাইরের জাগতে নিয়ে আসবে। কোথায় সেই “মানুষ নামের মানুষ টি ” । যে আমাদের বাঁচার স্বপ্ন দেখাবে। কোথায় সে ? সেতো ঘুমিয়ে আছে আমাদের সবার মাঝে। কখন সে জাগবে? কবে আসবে সেই সকাল।

সেই মানুষটিকে জাগিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি আর আহবান ছিল বাচনিকের এবারের বর্ষপূর্তির আয়োজনে-” মানুষ জাগবে ফের “। একটি সময় উপযোগী বিষয় বেছে নিয়ে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাচনিক। কবিতা আর আবৃতির মাঝে ডাক দিয়েছেন জেগে ওঠার, আর দিয়েছে একটা নতুন দিনের প্রতিশ্রুতি । আবারো কবিতার মাঝে বেচে থাকার স্বপ্নটা জাগিয়ে রেখে গেল আমাদের মাঝে।

বাচনিকের চিরাচরিত ধারার একটা অনবদ্ধ আর পরিছন্ন আয়োজন যা সাক্ষ্য বহন করে মেরী রাশেদীনের দক্ষ্য পরিচালনা আর নির্দেশনার। আর সেই সাথে বাচনিকের প্রতিটি শিল্পীর একনিষ্ট প্রচেষ্টা আর অভিজ্ঞতার । একটা দলগত পারফর্মেন্সের জন্য কোঅর্ডিনেশন যে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি তার প্রমান ছিল বাচনিকের পরিবেশনা মাঝে ।

অনুষ্টানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্বালন করে তা নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেন টরন্টোর গুনীজনেরা। এরপর কবি মাসুদ খানকে সম্মানিত করা হয় “বাচনিক সন্মাননা ২০১৯” তে।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেছেন অরুণা হায়দার, ইরা নাসরিন, ফারহানা আহমদ, সুমি রহমান ,আসমা হক, ম্যাক আজাদ, হোসনে আরা জেমী, কাজী আবদুল বাসিত, সাবরিনা নুর,কাজী হেলাল, মেরী রাশেদীন ,ফ্লোরা নাসরিন ইভা ও রাশেদা মুনির।
নৃত্যে ছিল সুকন্যার নৃত্য শিল্পী বৃন্দ।

অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন টরোন্টোর সকল কবিতা প্রেমীরা। আরও উপস্থিত ছিলেন ওন্টারিও প্রদেশের সংসদ সদস্য ডলি বেগম, টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাইমউদ্দিন আহমেদ,কবি আসাদ চৌধুরী ও শহরের অনেক গুনীজনেরা। একটি সুন্দর সন্ধ্যা উপভোগ করেছেন উপস্থিত দর্শক আর শ্রোতাবৃন্দ – এজন্য পরবাসী ব্লগের পক্ষ থেকে বাচনিককে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন