আবারও দেশী দামাল ছেলেদের প্রাধান্য বিপি এলে। আজকের ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত-র চমৎকার ব্যাটিং নৈপুণ্যের কারনে মাশরাফির ঢাকাকে হারিয়ে শেষ চারের শীর্ষে উঠে এলো মুশফিকের খুলনা টাইগার্স ।

মোট সাত টি দল নিয়ে গড়া এই টুর্নামেন্টে প্রত্যেকেই ইতিমধ্যে ১২ টি খেলা খেলেছে। অর্থাৎ, প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে দুইবার করে খেলে শেষ চারে উঠে এসেছে যথাক্রমে খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জর্স ও ঢাকা প্লাটুন। মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রথম তিনটি দলের একই সংখক পয়েন্ট অর্থাৎ ১৬ পয়েন্ট, পার্থক্য শুধু নীট রান রেটের। এদের মধ্যে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারের মধ্যে চতুর্থ স্থান নিয়ে আপাততঃ সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে মাশরাফির ঢাকা প্লাটুনকে।

আগামীকাল এক দিন বিরতি দিয়ে ১৩ই জানুরই থেকে শুরু হবে আসল লড়াই। ১৩ তারিখের প্রথম খেলাকে বলা হচ্ছে এলিমিনেটর গেম সেটা শুরু হবে তৃতীয় স্থানে থাকা চট্টগ্রাম ও চথুর্ত স্থানে থাকা ঢাকার মধ্যে। এদের মধ্যে যে দল পরাজিত হবে সে দল এলিমিনেট হয়ে বিদায় জানিয়ে চলে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে। আর যে দল জিতবে সে দল খেলবে একই দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের খেলা খুলনা ও রাজশাহীর মধ্যে যে দল হারবে সেই দলের সাথে ১৫ই জানুরাইতে। এটাই মূলত সেমিফানাল ম্যাচ। মজার ব্যাপার হচ্ছে , খুলনা -রাজশাহীর এই ম্যাচে জয়ী ও পরাজিত দুই দলের জন্যই সুযোগ রয়েছে ফাইনাল খেলার। আরো অন্যভাবে বলতে গেলে, এই ম্যাচে যে দল জিতবে সেই দল ১৭ ই জানুয়ারিতে সরাসরি ফাইনাল খেলা খেলবে, আর যে দল হারবে সেই দল কে ফাইনালে খেলতে হলে ১৫ তারিখে হারাতে হবে ১৩ তারিখের খেলার জয়ী দলকে . ১৭ ই জানুয়ারিতে খেলা জয়ী দলের সাথে। ফাইনাল খেলা এক দিন রিজার্ভ রাখা হয়েছে অর্থাৎ কোনো কারণে সেদিন খেলা না হলে বা খেলা টাই হলে পরের দিন ১৮ই জানুয়ারিতে আবার খেলা হবে।

ঢাকা ও খুলনার মধ্যে আজকের খেলাটি ছিল হয় ভোল্টেজের বেশ উপভোগ্য খেলা। আগে ব্যাট করে ঢাকা প্লাটুন করেছিল ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান, যার মধ্যে টেষ্টের তকমা লাগানো মমিনুলের অবদান ছিল ৯১ কিন্তু এত রান করেও ম্যাচের ফলাফল চলে যায় খুলনা টাইগার্সের দিকে। এ জন্য মূলত অবদান আরেক বাংলাদেশী তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত- র চমৎকার অপরাজিত ১১৫ রানের ঝলমলে এক কাব্যিক ইনিংস যা খেলতে তিনি নিয়েছেন মাত্র ৫৭ বল । টি টোয়েন্টি-র শ্রীলংকার অলরাউন্ডার থিসেরা পেরেরা-র এক ওভারেই ইনিংসের ১৩তম ওভারে শান্ত একই তুলে নিয়েছেন ২০ রান। এই ছয় বলের চিত্রটা এরকম: ৬-০ – ৬-০- ৬- ২ অর্থাৎ তিনটি ছয় ও একটি দুই । আজও জ্বলতে দেখা যায়নি ঢাকার হয়ে খেলা জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন মাশরাফিকে ।

বঙ্গ বন্ধুর শত তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে এবারের সাকিবহীন এক ম্যাড়মেড়ে টুর্নামেন্টে কিছুটা উত্তেজনা এসেছে। পরের খেলার খবর এর জন্য চোখ রাখুন, লেখকের পরবর্তী পর্বের জন্য যা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে প্রবাসী ব্লগের খেলার পাতায় ।

 

 

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমার দেখা কানাডা
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাসের পুনরাবৃত্তি !!!! ভুলে ভুলে কাটা কাটি, মাঝখান দিয়ে ৪৬৬টি নিরপরাধ এবং নিরীহ মানুষের নির্মম জীবন হানি !
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন