জয়োধ্বনি কর!!!!

সাউথ আফ্রিকার খেলার ২২.১ ওভার চলছে, রান ১১৭ অর্থাৎ জিততে হলে ওর সাউথ আফ্রিকার আরো ২১৪ রান দরকার বলের সংখ্যা ১৬৫ বাকি. অত্যন্ত দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিয়ে জয়োধ্বনি শিরোনামে লেখা শুরু করলাম. সৃষ্টি কর্তার কাছে লাখ লাখ শোকরিয়া এ জীবনে এও দেখতে হচ্ছে , জন্টি রোডস -এর সেই সাউথ আফ্রিকা সাথে বাংলাদেশের খেলা চলছে আর আমি খেলার মাঝামাঝি জায়গা থেকে বাংলাদেশের জয়োধ্বনি সূচক লেখার বিলাসিতা প্রদর্শন করছি. একই বলে ইতিহাস. শুনেছি, শায়েস্তা খানের সময় টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যতো. আমরা দুরু দুরু বুকে দেখেছি বাংলার দামাল ছেলেরা কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড প্রভিতি দেশের সাথে ক্রিকেট খেলছে, এই হারছে তো এই জিতছে. সেই বাংলাদেশ আজ ডাল/ভাতের মতো বড় বড় টেষ্ট প্লেয়িং দেশগুলিকে অনায়াসে হারিয়ে চলেছে. ধন্য এ জীবন ।
ধন্যবাদ জানাই আকরাম, নান্নু, বুলবুল, রফিক সহ সকল প্রাক্তন খেলোয়াড়দের. ওঁরাআমাদের আজকের এই লড়াকু বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরী করে দিয়েছিলো. লেখার এই পর্যায়ে ৩২.৩ ওভার চলছে, সাউথ আফ্রিকার জিততে হলে ১৪৪ রান দরকার . আমার দৃঢ বিশ্বাস আজ বাংলাদেশ জিতবেই জিতবে. তবে সকালে এতটা আস্থা ছিলোনা. তামিম যেকোন ২৯ বলে ১৬ রান করে আউট হলো, আমি কিছুটা আপসেট ছিলাম. বাথরুম যাবো দরকার, তায়ও ভয়ে যাচ্ছিনা, এই বুঝি সৌম আউট হয়ে যায়. টেলিভিশনের সাউন্ড প্রায় ‘০’ এর কাছে, পাছে মিতার ঘুম ভেঙে যায়. বেচারা, সেহেরি-র সময় এক গ্লাস পানিও খেয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন. আর থাকতে না পেরে অবশেষে বাথরুমে যেতে হলো. বিশ্বয়কর ব্যাপার হলো, বাথরুম শেষ করে রুমে ঢুকতেই দেখি ছেলে মুখ লম্বা করে মেঝেতে বসে টিভির দিকে না তাকিয়ে ট্যাবলেটে কি যেন লিখছে. যা ভেবেছিলাম তাই হলো. সৌম আউট. তবে আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৪২ রানের একটি ঝকঝকে জিনিস করে গেছে. সাকিব-মুশফিকের কালজয়ী পার্টনারশীপ, বুক চেতিয়ে লড়েছে মিঠুন, মোসাদ্দেক, আর মিস্টার ফিনিশার মোহাম্মদ উল্লা. হে সৃষ্টি কর্তা, তুমি এসব শোনার ছেলেদের মঙ্গোল করো. যাদের জন্য আজ প্রবাস জীবনে বসে বুক ভরে বাতাস নিয়ে জয়োধ্বনি দিতে পাচ্ছি.

ওই নতুনের কেতন উড়ে বাংলাদেশের ঝড়
তোরা সব জয়োধ্বনি কর
তোরা সব জয়োধ্বনি কর

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ : প্রথম পর্ব
পরবর্তী নিবন্ধতেঁতুল গাছের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ…
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন