রহস্যময় প্রক্রিয়ায় রহস্যময় পৃথিবীতে এসেছি তাও অনেকদিন হয়ে গেলো। পুরনো মানুষের তালিকায় নাম উঠে গেছে। পাওনা বলে কারো কাছে কিছু নেই, তবে দেনা অনেক। 
মা বাবা,যৌথ পরিবারের সবাই, যে মানুষটি ঝোঁকের মাথায় ভালবেসে জীবনসঙ্গিনী হয়ে এসেছিলো, এদের কাছে আমি আকণ্ঠ দেনায়ডুবা একজন মানুষ। 
সেই যে স্কুলের স্যার আপা, ঝালমুড়িওয়ালা দাদু, অথবা লাল সবুজ আইসক্রিমওয়ালা গগন’দা, বাদামওয়ালা লতিফ কাকু, টিনের শোকেজ গলায় ঝুলিয়ে হাওয়াই মিঠাই আনতো যে অনিল’দা, তাদের কাছে কি দেনা কম? এভাবেই একে একে জীবন চলার পথে পথে দেশ থেকে দেশান্তরী হয়ে যাযাবর জীবনে, জনে জনে কতশত ঋণ রেখে যাবো।
দুঃখ শুধু, রহস্যময় এই পৃথিবীর কিছুই জানা হলোনা, জানা হলোনা নিজেকে। কেন পাঠানো হলো? কেনই বা ফিরে যেতে বাধ্য করা হবে? 
শুধু একটুই বুঝি….
“মাটিকে ফিরিয়ে দিতে হবে মাটি”,
শোধ করতেই হবে জীবনের প্রথম ঋণ।
যা সৃষ্টিকর্তা আমাকে সৃষ্টির জন্য, 
ঋণ হিসাবে নিয়েছিলেন, 
ফিরিয়ে দেবেন বলে।
……….বিধাতা কারো কাছেই ঋণগ্রস্ত থাকেন না।।

১ মন্তব্য

  1. আপনিও তো আমাদেরকে আপনার সুন্দর সুন্দর লেখা দিয়ে ঋণী করে যাচ্ছেন।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন