আজকের আমার এই লেখায় কাউকে আঘাত করার কোন উদ্দেশ্য নাই। শুধু কিছু কিছু জিনিস তুলে ধরবার বৃথা চেষ্টা। সব সময় গুছিয়ে লেখার যেমন কদর থাকে তেমনি এলোমেলো লেখার মাঝেও এক মাদকতা থাকে। আর আজ আমার লেখায় তারই গুরুত্ব….

এই তোমার মধ্যে না নেগেটিভ ভাব বেশি। তুমি না ভালো চিন্তা করতে পারো না। তোমার কোন কিছু ই ভালো না। হায় হায় হাঁটো কেমন করে তুমি? ছিঃ দুই পা দুই দিকে ছড়ায়ে। এ মা খাচ্ছ কি করে? হায় আল্লাহ বাপ মা খাওয়াও শিখায় নাই / এমা প্লেটে এতো ভাত দেয় নাকি আগে… কিভাবে টেবিলে সার্ভ করতে হয় জানে না?

তুমি বা আপনি হয়ত ক্লান্ত, বাসায় কোন মেহমান আসছে তখন তাকে আপ্যায়ন করতে হবে। সেটা করার পর তার সামনে আবার দাঁত বের করে পিকুলিয়ার এর মতো দাঁতের মাজনের এ্যাড দিতে হবে। আর একটু ব্যঁাকাচ্যেকা হয়ে বসলে বা দাঁড়িয়ে কথা বললে তো তোমার বা আপনার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার হবে। তাই নয় কি? এই ছেলে বা মেয়ের কোন জ্ঞান নাই আমি বয়সে বড় দেখো চ্যাদরায় বসে আছে। আবার যদী একটু স্মার্টলী বসো, ধরো বা ধরেন, ছেলেরা একটু পা ছড়ায় বসে তো তাদেরকে মানায়। একটু লম্বা ছেলে হলে একটু বেশি ছড়ায় বসে। বা পায়ের উপর পা দেয়। দেখতেও ভালো লাগে। সমস্যা সেখানে না। সমস্যা হলো মুরুব্বী। এখনও আমাদের সমাজ পারছে না এটাকে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে। এটা করলে নাকি বড় কাউকে সম্মান দেয়া হয় না। আচ্ছা সুন্দর করে বসা একটা আর্ট। একটা মেয়ে যদী ছেলেদের মত একটু পা ছড়িয়ে বসে কল্পনা করেন তো একটু। এই আপনারাই বলবেন মেয়েটার মধ্যে বেটা বেটা ভাব ছিঃ। তুমি বা আপনি ধরেন বাংলায় কথা বলছেন , মাঝখানে কোন ইংলিশ শব্দের ধ্বনি দিলেন না। তুমি বা আপনি তো তাহলে গেছেন —- হায়রে আনকালচার,ছিঃ খ্যাত!!!! আবার কেউ ভালো ইংলিশ পারে ওমনি শুরু হবে তার সাথে তোমার বা আপনার তুলনা করা। ও পারে তুমি পারো না… আরে যেভাবে পারে পারুক না, না পারলে না পারুক ছোট করে অপমান করে কিসের মহাত্ম ? তার যদী মনে হয় সে তার মতে ভাববে, A for Apple, B for /Boro Apple, C for/ Choto Apple তোমার বা আপনার সমস্যা কোথায় ???
তুমি বা আপনি যেটা সুন্দর করে করবে সেটায় মানুষের নেগেটিভিটি থাকবেই। তুমি বা আপনি ভালো রান্না পারেন তার প্রশংসা থাকবেনা। বরং কি থাকবে জানেন, শিক্ষিত এই মানুষের কৃতজ্ঞতা তো নাই বরং ভাবখানা তুমি রান্না না করলে বুআ তো আছে। তোমার আর বুআর রান্না তো সমান…. একটু সম্মান করতে কি খুব বেধে যায়??? একটু ভালো বলতে কি অনেক টাকার খরচ করতে হয়? তোমাকে বা আপনাকে না জেনে জাজমেন্ট করবেই। এই আমি ই জাজমেন্টাল এর মানে বুঝতাম না তবে চারপাশের মানুষের কর্মেই সেটা সামনে হাজির। আর আজকাল স্যোশাল মিডিয়া তো আছেই। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম আরো কত কি? ধরেন ভালো কিছু করলেন বা কোন কাজ করা হলো। ৫ জন ভালো বলবে তো বাকি ১৫ জন আসবে কেমনে আপনাকে পঁচানো যায়, কাঁইনকো বাঁশটা কেমন করে পশ্চাৎপদে দেওয়া যায়….. সমালোচনা করবেই করবে। কারন তার গা জ্বলে, ভালো কিছু নেওয়ার যোগ্যতা নাই। কোন কিছুর ভালো টা নেওয়ার ও যোগ্যতা লাগে…. তাতে করে তোমার বা আপনার ভিতরে যে তুমি আছো সেটাকে কেমনে হত্যা করা যায়। এটাই তাদের লক্ষ্য। আমরা কেউ পারি না এমনটা নয়। আমরা হয়ত সাহস পাই না। একটা পথ খুঁজে পাই না। কেউ না কেউ কিছু না কিছু পারি। সবাই সব জানবে এমনটা না। সব মেয়েরাই যে জব করবে, শিক্ষিত হবে এমন তো নাও হতে পারে। তাই বলে সে সন্তান মানুষ করতে পারবে না এটা কি ধরনের শিক্ষিত লোকের মন্তব্য হতে পারে?বাচ্চা কে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াবে এই কারনে? আজকাল তো ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তির সময়ই বাচ্চার আগে মা বাবার ইংরেজির দৌড় কতটা তার পরীক্ষা দেয়া লাগে.. যে মহিলা পারেন না তবে কি তার সন্তান ঐ ইংলিশ মিডিয়ামে পড়তে পারবে না? সবার কি সব সময় সব বিষয়ে সব নলেজ থাকে? ডোনাল্ড ট্রাম্প কি করছে? জাস্টিন ট্রুডো কি নতুন সরকার হয়ে সংযোজন করেছেন? কাশ্মীরে কি কি নতুন আপডেট হচ্ছে? সত্যি কি ইরানে যুদ্ধ শুরু হবে কি না? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরে কি নতুন নতুন চ্যালেন্জ হাতে নিচ্ছেন ? জানতেই হবে ? ???

আমরা কেউ জন্ম থেকে নেগেটিভ নই। চারপাশের,,, আমাদের এই চারপাশের মানুষ, কাছের মানুষ, এবং আনসাকসেসফুল মানুষ গুলি তাদের ইনসিকিউরড ফিল থেকে তুমি পারবে না, তোমাকে দিয়ে হবে না, বের হতে গেলেই কাঁকড়ার মত টেনে হিচঁড়ে ঝুপড়ির মধ্যে ফেলে দিবে, তাও না শুনলে তখন পারিবারিক ইমোশনাল ব্ল্যাকমিল করবে। কিছু মানুষ মজা পায়, প্যারা দেয়। আর আপনি যদী ওদের দলে ভীড়ে যান তখন গর্ব করে বলবে। এটা কোন বিষয় না, আমিও পারিনি। কেউ না গর্ত থেকে বের হতে সাহায্য করে না। এটাই বাস্তবতা। আর নেগেটিভ হয়েও কেউ জন্মায় না। প্রতিটা মূহুর্তে পজিটিভ চিন্তার জন্য ঘাম ছুটাইতে হয় তারপরও কাছের প্রিয় মানুষ যখন বলে তখন থাপড়ানোও যায় না, কিছু বলাও যায় না, এর থেকে বের হওয়াও যায় না। এরা স্লো পয়জন এর মতন শিরায় শিরায় ঘুরে বেড়ায়। কানের মধ্যে পচন ধরায়।আর এটাই সত্য এরাই নিজেদের কে বাহবা দিয়ে চলে আর অন্য কে ছোট চোখে দেখে। বড় বড় কথার বুলি আওড়ায়, মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ হয়। হিউম্যান রিসোর্সের উচ্চ পদে বইসা মানুষকে সংশোধন করার দ্বায়িত্বে থাকলেও নিজে সেই চলিত পচন থেকে বের হতে পারে না। পরের বেলায় আগায় যায় কিন্তু নিজের ঘরে এরা লন্ঠন জ্বালায়। এটাই চরম বাস্তবতা…. ®

নীলিকা নীলাচল***

১ মন্তব্য

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন