নারী পুরুষের পরিণত জীবন মানেই ক্ষুরধার খন্ডিত প্রস্তর বিছানো অনিশ্চতার পথ বেয়ে প্রতিষ্ঠা আর সুখ অন্বেষণে হেঁটে চলা। পদতল রক্তাক্ত হতে হতে এক সময় ধমনীগুলো বন্ধ হয়ে যায়। শক্ত হয়ে ওঠে পদতল। কষ্ট গুলো দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতে করতে, মনে মনোরোগ আর হৃদয়ে হৃদরোগ গোপনে বাসা বাঁধে। দখিনের জানালাটা আর খোলা হয় না। অবচেন মন সে জানালায় প্রতিদিন একটা করে পেরেক ঠুঁকে হাসি হাসি সুখ সুখ খেলায় মত্ত থাকে।
গোল্ডফিসকে যতই গালমন্দ করিনা কেন, ভুলে যাওয়াতে মনুষ্য মনের জুড়ি নেই। হয়তএটাও ঠিক যে, মানুষ কষ্টকে ভুলে যেতে পারে বলেই তার ভালবাসা বেঁচে রয়। সব ভুলে গিয়ে হাসে, আবার ভালবাসে, আবার প্রতিজ্ঞা করে, আবারও ভাঙে, ভুলে গিয়ে সেই একই চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকে। ঠিক যেন ক্যাসিনোর জুয়া চক্রের সামনে দাঁড়িয়ে খেলায় মগ্ন জুয়াড়ির মতো।
আসক্ত এক জীবন জুয়াড়ি।
কেউ হারে, কেউ জিতে যায়। এই হারজিতের খেলা খেলতে খেলতে সময় ফুরিয়ে আসে। যে হারে, সে পেছনে ফিরে দেখে নতুন করে খেলা শুরু করার আর সময় নেই, শক্তি নেই, অর্থও নেই।
হায় সময়!!
আর বিজয়ী পেছনে ফিরে তাকিয়ে খুশিতে আপ্লুত হয় এই ভেবে যে, আমি পেরেছি। ঠিক তখনই সামনে তাকিয়ে যখন দেখে পথের প্রায় শেষ প্রান্তে সে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ বা সাথীহারা একা। সব প্রাপ্তি সুখ ম্লান হয়ে আসে, হাহাকার করে ওঠে মন।
হায় সময়!! হায় পথ!!! হায় জীবন!!
তুমি এত ছোট কেন?

হাতে হাতে রেখে পৌষের শিশির ভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটা হলো না।
শীতের শান্ত সাগরের বুকে ভেসে,
এক চাদরে জড়িয়ে দূরের বাতিঘর দেখা হলো না।
ঝুম বরষায় একগুচ্ছ কদম হাতে দুজনায় রিকশার হুড় ফেলে ভেজা হলো না।
হায় সময়!! হায় জীবন!!!
তুমি এতো ছোট কেন?

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন