কান্নারাও মরে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখ
কর্নিয়া ফেটে ছিটকে বেরোয় রক্ত
তবু শান্তনা- এটাই তো কান্না আমার!
ক্ষুধিত পাষাণের মতো দিনরাত
তাকিয়ে থাকতে থাকতে রেটিনায় জমেছে মেঘ
সব কিছু ঘোলা তাই অস্পষ্ট-
কোথায় কোনখানে কে যেন দাঁড়িয়ে
দূর থেকে, বহু দূর থেকে ভেসে আসে ক্ষীণকণ্ঠ- ভা..ল…বা….সি……
উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু
অপেরা হাউজ থেকে বার্থোলডি আইল্যান্ড
পটোম্যাক থেকে পদ্মা
কিংবা গোবি মরুভূমি থেকে রাজস্থান- সব জায়গা
হ্যাঁ, সব জায়গা সেই কণ্ঠ শুনে খুঁজেছি তাকে!
ধু ধু মরীচিকার মতো তার কণ্ঠ ভাসে বাতাসে
তাই
সপ্তাকাশ ফুঁড়ে উঠে যাই
আটলান্টিকের তলদেশেও খুঁজি তারে
বাতাসের অক্সিজেনে ঘ্রাণ তার
তাই বুঝি বেঁচে আছি বিধাতা! বড়ই করুণা তোমার!
শুকতারার হাসি দেখে ভাবি- এলো বুঝি সে
আমারে, সত্তার সবটুকু লভেছিল যে
তারে আমি পাবো কোথা কোন সুদূরে
আকাশ মর্ত্যলোকে বা কোন অন্তপুরে!
পিরামিড ভেঙে কি খুঁজবো তারে
আমার সবটুকু ভালবাসা দিয়েছি যারে,
তা নিয়ে নীরবে, দরজায় দিয়েছে তালা
আগুনে আগুনে পোড়ে সারা গায়ে জ্বালা-
আর কত সইবো, বলবে কে আমায়
হঠাৎ পথিক এক মাঝপথে আমাকে থামায়
বলে- ভালবাসো বাছা তুমি! পাবে তারে পাবে!

চোখ নির্লিপ্ত হয়
তখন আকাশে অনেক তারা
ছায়াপথে বসেছে আসর
গল্পপরীরা অপ্সরী হয়ে মেলেছে ডানা
সেখানে তবু কেউ আছে
একজন আছে
হয়তো বলবে সে- ভালবাসি তোমায়!

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন