He is one of my clients cat. He always go to that table whenever he needs to eat. 
বিড়ালের এই ছবিসহ পোস্টটি আমি নিছক সুন্দর দৃশ্যের জন্য দেয়নি। আমার এবং আমাদের (অধিকাংশ বাঙালিদের) এখান থেকে কিছু দেখার বা শেখার আছে। এরা প্রাণী, পৃথিবীর শ্রেষ্ট জীব নয় এবং এদের মাথার ঘিলু বা বিদ্যাবুদ্ধি মানুষের থেকে কম হওয়ার কথা, কিন্তু ইদানিং দেখা যায় এরা পৃথিবীর শ্রেষ্ট জীব মানুষের থেকেও তাদের কোথায় কি করা উচিত অর্থাৎ “what they are supposed to do, they do that.” এবং ২/১ বার শিক্ষা দিলে সেটা মনে রাখে। আর আমরা বছরের পর বছর শিক্ষা পেয়েও আমাদের (অধিকাংশ) যা করা উচিত তা করি না, যদিও বলি অনেক। যাদের কিটেন আছে তারা জানেন ওদের টয়লেটের জন্য নিদৃষ্ট জায়গা ছাড়া ঘরের অন্য জায়গায় টয়লেট করে না। আর আমরা বড়ো বড়ো অক্ষরে “এলখানে প্রস্রাব করা,পানের পিক ফেলা, সিগারেট বাট ফেলা নিষেদ থাকলেও” সেটা অহরহ অমান্য করছি।
আরো, যেমন ট্রাফিক আইন না মেনে চলা, রাস্তার মাঝখান দিয়ে রাস্তা পার হওয়া, রাস্তা ফাঁকা থাকলে লালা লাইট থাকলেও চলে যাওয়া, সময়মতো অফিসে না যাওয়া, শুধু শুদু মানুষকে ভোগানো (কিছু পাওয়ার আশায়), মেয়েদেরকে উত্তক্ত করা, একজনকে ছোট করে নিজে বড়ো হওয়ার ধান্দা ইত্যাদি ভুরি ভুরি জিনিস আমাদের করা উচিত না হলেও হরহামেশাই করে জাসছি।এই যে দেশে নির্বাচন হস্ছে, দলগুলি, থানা পুলিশ, নির্বাচন কমিশন ইত্যাদি, এদের যা করা উচিত সবসময় সেটা তারা করছেন না। শুধুই একে ওপরের বদনাম নিয়েই ব্যস্ত। যার যা করা উচিত সেটা যে অন্নান্য সভ্য দেশের লোক ১০০% করছে তা নয়, কিন্তু আমাদের লোকদের মতো একেবারে ২ বা ১%এ সীমিত নেই। মানুষের মানসিক উন্নতি না হলে বড়ো বড়ো বিল্ডিং, সুন্দর রাস্তাঘাট, শপিং মল বা ডিজিটাইজেশোনে খুব একটা সার্বিক উন্নয়ণ হবে না। আমার এই কথাগুলি শুনে কোনো পক্ষেরই হাসির বা পুলকিত হওয়ার কারণ নেই, মানসিকতার অবনতি আমাদের সবার জন্য লজ্জাস্কর। যাহোক আমি বা আপনি একা পুরা জাতির পরিবর্তন আনতে পারবো না, তবে অন্তত নিজের ছেলেমেয়ে বা কাছের লোকদের নিয়ে নিজেদের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আনলে অন্তত অল্প কিসু হলেও কাজ হবে।
 
এই ছোটোভাবে কিছু করার একটি ছোট উদাহরণ দেই। আমরা গত সামারে Sauble Fallsএর কাছে ক্যাম্পিংয়ে যাই।আমাদের সাথে ছোট ছোট ভ্যাগনে ভাগ্নি ছিল।ওরা ক্যাম্পসাইটে খেলা করছিলো, এক পর্যায়ে ওরা ছোট একটি পোকা দেখে সেটাকে তাড়া করতে থাকে। আমি তখন ওদের থামিয়ে বললাম, শুধু শুদু ওই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে তাদের ডিসটার্ব করা ঠিক না। ও মারা যেতে পারে, আর ওকে বিনা কারণে আমাদের মারার কোনো অধিকার নেই।যাহোক ওরা পোকাটিকে ছেড়ে দিলো।
পরদিন আমরা বিচে সাঁতরাতে গেছি। ওরা ২/৩ জন পানিতে খেলা করছে। আমি তদাদেরকে ডাক দিলাম ছোট একটি সাঁতার প্রতিযোগিতার জন্য। বলতে গেলে ওদেরকে একটু তাড়া দিলাম একসাথে করার জন্য। হটাৎ করে ওরা আমাকে বললো “Wait uncle, there is a butterfly who is drowning, we are trying to save her, yesterday you told us their lives are like our lives, now you forgot! Please let us save her, and then we come to you.”
 
যাহোক, ওরা butterflyটাকে ধরে লেকের পাড়ে ছেড়ে দিলো এবং চলে আসলো আমার কাছে। আমার ভালো লাগলো ওরা একটি প্রাণের মূল্য বুঝেছে এবং আমাকে আমার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে (কিছুটা লজ্জাও পেলাম) । আরো একটি কথা, আমরা ক্যাম্পসাইট ত্যাগ করার সময় ক্যাম্পসাইটে কোনো ধরণের গার্বেজ রাখি না। তো কয়েকবার আমাদের দেখা দেখে পিচ্ছিরাও লেগে যায় clean-up করতে, এবং ওদেরকে এটা আর বলতে হয় না। পরিবেশের বেপারে কিছুটা হলেও তারা সতর্ক। এইতো, বড়ো কিছু করতে না পারলেও আমরা যেন এরকম ছোট ছোট কিছু করি। আসুন সে আশা রেখেছি শেষ করি।
ছোট সদস্যগুলির নাম এই লেখায় তারা deserve করে। এরা হলো, জাইয়ান, ক্যারিদা এবং রাজ।
মুকুল
টরন্টো

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন