আমার আগের লেখায় ইমিগ্রান্টদের  জন্য  কারিয়ার বিষয়ে লিখেছিলাম. প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবার রেজুমি নিয়ে কিছু লিখছি. সত্যিকথা বলতে আসলে রেজুমি শব্দটি দেশে কখনো শুনেছি বলে মনে হয়না. দেশে আমরা বায়োডাটা বলতে বেশি  অবভেস্ত ছিলাম. দেশের বাইরে আসার পরে জেনেছি রেজুমি. যাহোক রেজুমি বলি আর বায়োডাটাই বলি এটি হচ্ছে চাকুরী লাভের অন্যতম হাতিয়ার. ভালো বিজে ভালো ফসলের মত ভালো চাকুরীর জন্য ভালো রেজুমি  দরকার. রেজুমি-কে অনেকে সেল্ফ -মার্কেটিং টুল বলে অবিহিত করে থাকেন কারণ এই এক/দুই পাতার কাগজের মাধ্যমে নিজেকে, নিজের যোগ্যতাকে, কর্মদক্ষতাকে অতি সহজেই   বাজারজাত করা যায়.  আমরা যখন কোনো পণ্য বাজারজাত করার কথা ভাবি তখন কি করি. সবার আগে নিজের পণ্য সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নেই. একই ভাবে চাকুরীর বাজারে নিজেকে বাজারজাত করতে হলে সঠিকভাবে নিজকে,    নিজের কর্মদক্ষতাকে , যোগ্যতাকে জেনে নিন. ভলোকরে দেখেনিন এসব ফলাফল চাকুরীর বিজ্ঞাপনটিকে কতখানি ম্যাচিং করে. একেবারে শতকরা একশ ভাগ মিল হতে হবে এমন কোনো কথা নেই. একটু এদিক ওদিক হলেও আমি অসুবিধা দেখিনা.

আমি আমার দীর্ঘ্য প্রবাস জীবনে অনেক অভিজ্ঞ ভাই/বোনদের দেখেছি যারা সব সময় বলে বেড়ান বিদেশে প্রফেস্যনাল চাকুরী পাওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ অথবা রাত /দিন ইমিগ্রেসন অফিসারদের অথবা কানাডা সরকার-কে উঠতে-বসতে গালি দিয়ে বেড়ান অথচ নিজের রেজুমি-র দিকে একবারও ভালো করে চোখ বুলিয়ে দেখেন না, তার রেজুমিটি শতকরা কত ভাগ job -requirement -কে   সাপোর্ট করে. শুধু তাইনা, আপনের রেজুমিতে কেবল মাত্র একটি ভুল বানান অনেকসময় সাড়া না পায়ওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ হয়ে দাড়ায়. সতরাং কাক কান নিয়ে গেছে বলে না চিল্লাচিল্লি করে আসুন, সবার আগে নিজের রিজুমি চুল চেরা বিশ্লেষণ করি.  এখন যে বিষয়গুলি আলাপ করবো তা অনেকের জন্যই হয়তো বিরক্তিকর হতে পারে যেহতু আপনারা অনেকেই এসব জানেন তারপরেও এসব  কথা রেজুমি প্রসঙ্গে না লিখলেই না. যাহোক, এসব গৎ বাধা কথার  শেষে  চেষ্টা  করবো নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে আরো কিছু টিপস দেয়া যেগুলি এই বিদেশ বিভুইতে আপনের কজে লাগলেও লাগতে পারে. তাই, প্রিয় পাঠক দয়া করে মনোযোগ দিয়ে লেখাটির শেষ পর্যন্ত পড়লে হয়ত আপনের কাজে লেগেও যেতে পারে.

রেজুমিতে করণীয় বিষয়বলি:

রেজুমি পরিবেশিত হতে হবে স্পষ্টভাবে, প্রিন্টিং  হতে হবে চকচকে ঝকঝকা. হাতে লেখার মাধ্যমে কোনো ভাবেই কোনো কিছু সংযোজন বা এডিটিং করা যাবেনা;  রেজুমির বডির জন্য ১২ ফন্ট (এরিয়াল / টাইমস নিউ রোমান) স্ট্যান্ডার্ড;  বডিতে দুইটি লেইন-এর মাঝে সিঙ্গেল স্পেস এবং দুইটি অনুচ্ছেদ/ হেডিং-এর মাঝে ডাবল স্পেস থাকতে হবে;  নন-প্রফেশনাল চাকুরিত ক্ষেত্রে সাধারণত এক পৃষ্ঠার রেজুমি বেশি চল.  তবে প্রফেশনাল চাকুরীর জন্য দুই পৃষ্ঠার রেজুমি বেশি গ্রহণযোগ্য. কোনো অবস্থাতেই দুই পৃষ্ঠার উপরে যাওয়া উচিতনা ; -নিজের যোগাযোগের জন্য  ভয়েস মেইল অপসন আছে এমন ফোন নম্বর দেওয়া উচিত;  রেজুমির  বডি কয়েকটি  হেডিং/ সেকসন-এ ভাগ হতে হয়. যেমন: SUMMARY OF SKILLS/QUALIFICATIONS, EMPLOYMENT EXPERIENCE, EDUCATION/TRAINING

এছাড়াও,   আরো কিসু অপসনাল হেডিং অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, যেমন:  OBJECTIVE,  VOLUNTEER WORK, MEMBERSHIP IN PROFFESIONAL ASSOCIAYION, CERTIFICATE AND AWARD, INTERESTS AND HOBIES, LICENSE  etc.  যদি যে চাকুরীর জন্য  রেজুমিটি বাবহৃত হছে তা জানা থাকে তবে “objective ” হেডিং-এ নির্দিষ্ট ভাবে সেই  চাকুরীর পজিসন-এর কথা লিখতে হবে;  শিক্ষা বা পূর্বের চাকুরীর বর্ণনার সময় থ্রি W ফর্মুলা (  What, where, when   ) বাবহের করা উচিত;  পূর্বের চাকুরীর বর্ণনার সময় সক্রিয় ভাবে বর্ণনা করা উচিত. এক্ষেত্রে তিনটি ধাপ মেনে চলা উচিত. ১. উপযুক্ত ক্রিয়া পদ অতীত কালে (developed, operated, provided, managed, monitored etc. ) প্রকাশ করতে হয়. ২. নির্দিষ্ট কি কাজ করা হয়েছিল তা অতি সংক্ষেপে লেখা. ৩. সে কাজের দ্বারা কি ফলাফল হয়েছিল তা লেখা. উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে: developed a policy manual which ensured consistency in customer relations; operated forklift following safety procedures consciously; provided excellent food services to customers which helped to increase and maintain repeat business; creatively rearranged the office filing system, which lead to more efficient file retrieval for all staff members; served 8-10 tables simultaneously and increased revenue by up-selling food and beverage items; successfully handled over 100 phone calls per day and directed each to appropriate staff or took messages as needed; exceeded sales targets of $ 5000 per shift by providing attentive customer service etc.

রেজুমি তৈরির দুটি গুরত্বপূর্ণ ধাপ :

প্রথম ধাপ: Objective ঠিক করা

এটা হতে হবে খুব  স্পেসিফিক অর্থাৎ চাকুরীর বিজ্ঞাপনে যে পজিশনের কথা বলা হয়েছে তা উল্লেখ করা. যেমন: Looking for a position as a full-time Customer Service Representative with ABC Company, or Looking for a position as an IT Coordinator with ABC Company

দ্বিতীয় ধাপ: রেজুমি ধরন নির্বাচন

একটি রেজুমি তিন ধরনের হতে পারে. পর্যায়ক্রমিক (Cronological) ,  ক্রিয়ামূলক  (Functional)এবং সমন্নিত  (Combination) রেজুমি . পর্যায়ক্রমিক রেজুমি একটি ট্রাডিশোনাল ধরনের রেজুমি.  এধরনের রেজুমিতে পর্যায়ক্রম ভাবে ইতিপূর্বে সম্পাদিত  চাকুরীর টাইটেল এবং তারিখ সহ কাজের বর্ণনা ধারাবাহিক ভাবে পরিবেশিত হয়. সবচেয়ে নিকটতম চাকুরিরির তথ্য তালিকায় সবার উপরে থাকে.  তবে আলাদা আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট কর্মদক্ষতার পরিবেশনা  থাকেনা. যখন কেউ একই ধরনের চাকুরী অনেক দিন ধরে করে করছে এবং একই ফিল্ডে প্রমসনের জন্য চাকুরী খুজছে তের জন্য  পর্যায়ক্রমিক রেজুমি কার্যকরী. আবার যারা প্রথমবারের মত চাকুরী খুজছেন বা যাদের চাকুরীর অভিজ্ঞতা তেমন নেই তাদের জন্য  ক্রিয়ামূলক রেজুমি বেশ কার্যকরী.  এধরনের রেজুমিতে কেবল বিভিন্ন বিষয়ের কর্মদক্ষতার বর্ণনা থাকে. তবে এক্ষেত্র্রে বলাবাহুল্য, সেইসব কর্মদক্ষতার উল্লেখ করা উচিত যেগুলি উল্লেখিত চাকুরীর জন্য প্রযোজ্য. সমন্নিত রেজুমি হলো আরেকধরণের রেজুমি যা উঅপরে উল্লেক্ষিত দুই ধরনের রেজুমির সমন্নিত ফসল. যখন কারো ইতিপূর্বে কেবল ২/১ টি চাকুরীর অভিজ্ঞতা আছে  তাদের জন্য এধরনের রেজুমি বেশ উপযোগী. এক্ষেত্রে, ইতিপূর্বে সম্পাদিত  চাকুরীর টাইটেল এবং তারিখ সহ কাজের বর্ণনা ধারাবাহিক ভাবে পরিবেশিত হয় এবং সেইসাথে সম্পর্কৃত বিশেষ বিশেষ  কর্মদক্ষতার বর্ণনা থাকে.

 

রেযুমিতে উল্লেখ করা যাবেনা এমন কিছু বিষয়ের আলোচনা করতে হলে প্রথমেই বলতে হয় বাক্তিগত তথ্য যেমন  বৈবাহিক অবস্থা, লিঙ্গ, ধর্ম, সিন (S.I.N.) #, ইমিগ্র্যান্ট স্টাটাস ইত্যাদি. এখন কি করা হয় জানিনা তবে আমার মনে আছে দেশে, দেখতাম টায়পিষ্টের দোকানে এসব কিছুর তালিকা ফরমেট করা থাকত যা পয়সা দিয়ে আমরা কিনতাম. যাহোক, এখন অবস্যই পরিবর্তন এসেছে. আগের সেই দিন আর নাই. এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম পাকিস্তান / ভারত-কে  হেসে খেলে হারায়. রেযুমিতে আরো যেসব করা নিষেধ তা হলো “আমি দিয়ে শুরু  করা  কোনো বাক্য. এছাড়া, রেজুমিতে কখনো ইতিপূর্বে সম্পাদিত চাকুরির বর্ণনা করের সময় কখনো  ঠিকানা বা টেলিফোন  নম্বর  উল্লেখ করা ঠিকনা . রেজুমিতে রেফারেন্স লিস্ট থাকা ঠিকনা. রেজুমিতে কখনো কাঙ্খিত পারিশ্রমিক-এর উল্লেখ থাকাও উচিতনা.  এছাড়া আরেকটি গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য হলো, যদি কেউ কোনো চাকুরী থেকে কোনো কারণে বরখাস্ত হয়ে থাকে , তবে  কখনো সেই  চাকুরীর কথা  রেজুমিতে উল্লেখ উল্লেখ করা যাবেনা

বিশেষ টিপস:

লেখার শুরুতে যা বলের চেষ্টা করেছিলাম, তা হলো এপর্যন্ত যা আলোচনা করা হলো আমার ধারণা অধিকাংশ ইমিগ্র্যান্ট ভাই/বোনেরা এগুলি  ইতিমধ্যেই জানেন. তবুও একটু ঝালাই করা আরকি. যাহোক, এখন আমি যা বলব তা একেবারে আমার ইমিগ্র্যান্ট হিসাবে বারো বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং এখানে কর্মজীবনে সফল হয়েছেন এমন  শ্রদ্ধেয় বড় ভাইদের পরামর্শের আলোকে কিছু টিপস দেয়ার চষ্টা করব. প্রথমেই ধরা যাক, আমরা সাধারণত শুরুর দিকে রেজুমি নিয়ে অনেক সমস্যায় পরে যাই. ভালো কোনো বন্ধুর শরণাপন্ন হলে হয়ত বন্ধুটির নিজের রেজুমি  দেখে একটি রেজুমি লেখার  চেষ্টা করি. এভাবে হয়ত নন-প্রফেসনাল চাকুরীর জন্য রেজুমি তৈরী করা সম্ভন. কিন্তু প্রফেস্যনাল চাকুরীর ক্ষেত্রে আমাদের দরকার অনেক উন্নতমানের রেজুমি. আমার মতে একটি ভালো রেজুমির জন্য  কাছা কাছি কোনো এমপ্লয়মেন্ট সেন্টারে যাওয়া উচিত.  সেখানে এপয়েনমেন্ট করে একজন স্পেশালিস্টের কাছে বসে চাকুরীর বিজ্ঞাপনএর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী রেজুমি তৈরী করা অনেক বুদ্ধিমানের  কাজ. সাথারণত: এটাই সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ভালো  পদ্ধতি. এক্ষেত্রে, অনেকসময় খোলামেলা ভাবে আলাপ-আলোচনা করতে অনেকের সমস্যা হতে পারে. তাই, পরিচিত কোনো ভালো বড় ভাই যিনি এদেশে ভলো পজিশনে কাজ করছেন তার সাথে আলাপ করে অন্তত একবার আপনের তৈরিকৃত রেযুমি দেখানো উচিত বলে আমি মনে করি. একবার একটি ভালো রেজুমি এবং কভার লেটার তৈরী করা হয়ে গেলে সেটাকে বেসিক হিসাবে ধরে অনান্য চাকুরীর জন্য রেজুমি সহজেই তৈরী করা যায়. চলুন কিছু বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যাক.

যেমন,  ধরুন আপনে এখন চাকুরীর যে বিজ্ঞাপনটি দেখছেন তাতে লেখা আছে কানাডায় রেজিস্টার্ড কোনো  কলেজ থেকে  সোসাল সার্ভিস ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা এবং সংশ্লিষ্ট কাজে নুন্যতম তিন বসরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে. এখন আপনের অবস্থা বিভিন্ন রকম হতে পারে. যেমন, আপনের হয়ত বাংলাদেশের NGO  সেক্টরে  বহু বসরের কাজের অভিজ্ঞতা আছে. কিন্তু কানাডার  কোনো ডিগ্রী নেই. হয়ত কানাডাতে ভলান্টারীর কিছ অভিজ্ঞতা আছে. তার পরেও আমি বলব আপনি সঠিক ভাবে গুছিয়ে রেজুমি লেখতে বসে যান. হয়ত ইন্টারভিউ-এর জন্য আপনাকে ডাকতো পারে. অনেক সময় আপনের বাংলা ভাষা জানাও একটি বাড়তি যোগ্যতা হতে পারে. অথবা ধরুন আপনি যে চাকুরীর বিজ্ঞাপনটির দিকে চোখ  বুলাচ্ছেন সেটিতে লেখা আছে – ডিগ্রীর পাশাপাশি নতুন  ইমিগ্রান্টদের  সাথে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে. এখন আপনের হয়ত কানাডায় কোনো কলেজ থেকে সোশ্যাল ওয়ার্ক-এর উপর ডিগ্রী করেছেন কিন্তু নতুন দের সাথে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই. অথচ নতুন  হিসাবে আপনের বিস্তর অভিজ্ঞতা আছে. সাজিয়ে গুছিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার  কথায় না হয়  লিখুন . অথবা ধরুন,  কোনো মহিলা  কাস্টমার সার্ভিস জাতীয় চাকুরীর জন্য রেজুমি তৈরী করছেন অথচ বাসায়  ২/১ টি বছরের  বেবি সিটিং-এর অভিজ্ঞতা ছাড়া  কোনো কাজের অভিজ্ঞতাই উনার  নেই. তাতে ক্ষতি কি . আপনি ইতিমধ্যে অর্জন করেছেন কিভাবে চাপের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়, কিভাবে কাষ্টমারের সেফটি নিশ্চিত করতে হয় , কিভাবে কাষ্টমারের সাথে কার্যকর ভাবে কথা বলতে হয়. এসব কথায় গুছিয়ে  লিখে কোনো সিনিয়র ভাই/ বোন্ অথবা কোনো এমপ্লয়মেন্ট অফিস-এ গিয়ে দেখা করুন. টরেন্টোতে  আরেকটি গুরত্বপূর্ণ রিসোর্স হলো এখানে সরকারী প্রচুর Social service and Emplopyment centre আছে. এখানে রেজুমি, জব সার্চ  ইত্যাদি বিষয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম হয়. আপনি নতুন ইমিগ্র্যান্ট হলে অবশ্যই আপনের নিকটস্থ  অফিস- এ যাবেন এবং রেজুমি বা চাকুরীর বিষয়ে কথা বলবেন. সব শেষে যে কথাটি  আনঅফিসিয়ালি বলছি, (দয়া করে এ কথাটি  রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করবেননা ) আপনি দেশে কিধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তা অতো  চুলচেরা বিশ্লেসন না করে যদি আপনের অন্তত একটি কানাডিয়ান ডিগ্রী থাকে তাহলে  চাকুরীর বিজ্ঞাপন দেখে যুতসই রেজুমি দাড় করে ফেলুন, পাশা পাশি সংশ্লিষ্ট কাজে ভলান্টারির মাধ্যমে নিজেকে আপগ্রেড করতে থাকুন. অবস্যই আজ হোক বা কাল হোক চাকুরী আপনের হাতের মুঠোয় চলে আসবে.

 

পরবর্তী আকর্ষণ

১. কভার লিটার তৈরী

২. চাকুরী অনুসন্ধান বা জব সার্চ

পূর্ববর্তী নিবন্ধডেনমার্কের গ্রীনকার্ড স্কীম।
পরবর্তী নিবন্ধঈদ আনন্দ-সারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন