এক সময়ের চির প্রতিদ্বন্দ্বী জিম্বাবুয়েকে হারানো এখন প্রায় অভ্যাসে পেয়ে বসেছে টাইগারদের। টেস্ট,ওডিআই-এর পরে টি-২০তে আজ প্রায় হেসে খেলে দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় দল। টাইগারদের যে আজ ছক্কা মারার নেশায় পেয়ে বসেছিল। বাংলাদেশের ইনিংসে মোট ১২ টি ছক্কা আসে যা স্পর্শ করে ২০১৭ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা নিজেদের ছক্কা মারার রেকর্ডকে।

টরেন্ট সময় সকাল আট টায় খেলা শুরু হয়। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক উইলিয়ামস টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিলে, সাপে বর হয় বাংলাদেশের। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ঠিক ২০০ রান তোলে টাইগাররা। তামিম-লিটন ওপেনিং জুটি ৯২ রান পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকে। ৩৩ বলে ৪১ রানে তামিম আউট হলে লিটনের মাত্র ৩৯ বলে ৫৯ ও সৌম্য সরকারের ৩২ বলে অপরাজিত ৬২ রানের কল্যানে পাহাড় সমান ২০০ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। মূলত: এখানেই অনেকটা জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বোলাররা কেউই তেমন সুবিধা করতে পারেনি। কেবল সিকান্দের রাজা, মপোফু ও মাধেভেরি অনেক রান খরচ প্রত্যেকে  একটি করে উইকেট নেন।

জবাবে, ইনিংস শুরু করতে যেয়ে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এর পরে বাকি ব্যাটসম্যানদের কেবল আসা-যাওয়ার খেলা। ওপেনার কামুনহুকামোয়ের এর ২০ বলে ২৮, মিডল অর্ডারে নেমে অধিনায়ক উইলিয়ামসের ১২ বলে ২০ এবং মুতুম্বার ১৩ বলে ২০ রানে ইনিংসে কিছুটা রান জমা হয়। এক পর্যায়ে ১৫.১ ওভারে ৮ উইকেটের পতন হয় যখন রান মাত্রই ১০৭। এর পরে বাংলাদেশ যেন নিশ্চিন্ত জয় জেনে কিছুটা গা ছাড়া দেয়। এর ফলে, লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান টিপনার ১৩ বলে ২০ ও মুম্বাই ১৬ বলে ২৫ রানের কল্যানে ১৫১ রানের সম্মান জনক রান করে জিম্বাবুয়ে। ৪৮ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে বামহাতি মিডিয়াম পেসার মুস্তাফিজ ও লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম যথাক্রমে ৩২ ও ৩৪ রানের বিনিময়ে তিনটি করে উইকেট নেন। মুস্তাফিজের শেষ ওভারে ইনিংসের ১৯তম ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটের পতন ঘটে। এ ছাড়া, শফিউল, সাইফুদ্দিন ও আফিফা হোসেনরা প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।

সৌম্য সরকারের ৩২ বলে ৬২ রানের মার-মুখী ইনিংসের সম্মানে দিনের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।

আগামী বুধবার, টরেন্টোর সময় সকাল আট টায় দ্বিতীয় টি ২০ সুর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর। উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসের ফেবরুয়ারির ২২ তারিখে একমাত্র টেষ্টে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল জয় পায়। পরে, মার্চের ১, ৩ ও ৬ তারিখে ওডিআই খেলায় জিম্বাবুয়ে কে যথাক্রমে ১৬৯, ৪ ও ১২৩ রানে পরাজিত করে টাইগাররা।

আরেকটি বাংলা ওয়াশ দেখতেহলে বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশী ক্রিকেট প্রেমীদের। সেই সাথে শেষ হবে জিম্বাবুয়ের জন্য এক বিষাদময় সিরিজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজোৎস্না ম্যানশন (দ্বিতীয় পর্ব)
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনে একটি পারিবারিক ট্যুর।
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন