অবশেষে সোনার হরিণ ধরা দিলো রাজশাহী রয়্যালসের কাছে, প্রথম বারের মতো বিপিএল টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতলো রাজশাহী রয়্যালস দল।

খেলার আগে নিঃসন্দেহে খুলে টাইগার্স ই ছিল ফেবারিট দল। এইতো কয়দিন আগেই, এই খুলনা টাইগার্স দলই হেসে খেলে রাজশাহী রয়্যালসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল। অদৃষ্টের পরিহাসে, সেই রাজশাহী রয়্যালস আজ হেসে খেলে ২১ রানে হারিয়ে দিলো লড়াকু মুশফিকের খুলনা টাইগার্স দলকে।

আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে রাজশাহী দল ১৭০ রানের বিশাল পুঁজি তোলে। এই রান তুলতে মূলত অবদান রাখেন দুই পাকিস্তানি প্লেয়ার ইরফান শুক্কুর এর ৩৫ বলে ৫২ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ২০ বলে ৪১। এ ছাড়াও, লিটন দেশের ২৮ বলে ২৫ ও এন্ড্রু রাসেলের ১৬ বলে ২৭ বড় পুঁজি গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখে। খুলনা টাইগার্স দলের পক্ষে এক পাকিস্তানী বলার মোহাম্মদ আমির ছাড়া কোনো বোলারই তেমন সফলতার মুখ দেখেননি। ৪ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে মোহাম্মদ আমিরই ছিলেন খুলনা পক্ষে সব চেয়ে সফল বলার।

১৭১ রান নিয়ে খেলতে নেমে এই টুর্নামেন্টে দারুন ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত র শুন্য রানে ফিরে যাওয়া ও মেহেদী হাসান মিরাজের মাত্র ২ রানে আউট হওয়ায় বিপদে পরে যাওয়া টাইগার্সরা, শামসুর রহমানের বীরোচিত ৪৩ বলে ৫২ রানে ম্যাচে ফেরে । ১৩ তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিল খুলনা টাইগার্স। ১৪ তম ওভারে জাতীয় দলের বলার কামরুল ইসলাম -এর করা ওভারে সেট ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান ও নাজিবুল্লাহকে তুলে নিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পরে খুলনা টাইগার্স। মুফিকের ১৫ বলে ২১ রানের ইনিংস কেবল পরাজয়ের ব্যাবধান কমাতে সাহায্য করে। রাজশাহী রয়্যালসের পক্ষে মোহাম্মদ ইরফান, এন্ড্রু রাসেল ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ২ টি করে উইকেট নিয়ে মূলতঃ খুলনা টাইগার্সের গভীর ব্যাটিং লাইন উপর ধস নামান। ১৪৯ রানে থেমে যায় টাইগার্সদের রানের চাকা ।

 

 

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু বিপি এল ২০১৯-২০: মামুদ উল্লাহ-র কাছে হেরে বিদায় মাশরাফির ঢাকা প্লাটুন দল
পরবর্তী নিবন্ধচিরকুট…
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন