নরওয়ে থেকে:-

সাউথ এশিয়ার যে দেশগুলো আছে তার মধ্যে ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তান প্রায় সব দিকে এগিয়ে ছিলো। স্বাধীনতার পর ক্ষুধা , দারিদ্রতা, আর বিদ্ধস্ত একটা অবকাঠামো ছাড়া বাংলাদেশের তেমন আর কোনো কিছুই ছিলোনা। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে হাজার লক্ষ্ মানুষ মারা গেছে দুর্ভিক্ষের কারণে। তবে সময় পাল্টে গেছে এখন, অনেকে না মানলেও সব মাপকাঠিতে বাংলাদেশ এখন সারা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দ্রুতে পরিণত হবার পথে। সাউথ এশিয়ার অনেকেই বাংলাদেশে এসে কাজ করতে আগ্রহী,, ২০ বৎসর আগেও যা কল্পনাতীত ছিল , কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আজকাল অনেক পাকিস্তানী কিংবা ইন্ডিয়ান ছেলে মেয়ে আছে যারা বিয়ে করতে চায় বাংলাদেশী ছেলেমেয়েদের, বাংলাদেশে স্তায়ী হয়ে কাজ করতে চায় বাংলাদেশে। এতো বেশি লোকসংখ্যা হবার পরও বাংলাদেশের অর্থনীতিক, সামাজিক, উন্নয়ন অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রায় ঈর্ষণীয় পর্যায়ে। শিক্ষা, এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি সাউথ এশিয়ার সব দেশের চেয়ে ভালো। আর এসব কিছুর পিছনে আছে বাংলাদেশিদের দেশ প্রেম এবং নিজেদের আত্মসম্মানবোধ ।

জুয়া খেলে যেমন খুব কম সময়েই রাজা থেকে ফকির হওয়া যায় ঠিক তেমনি দুর্নীতির কারণে একটা সম্ভাবনাময় দেশ খুব সহজেই অনেক পিছনে পড়ে যেতে পারে । বাংলাদেশ সরকার, সরকারি কর্মকতা কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষদের নৈতিক স্থলন এবং দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে এসে দেশ প্রেমী হতে হবে। দেশের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। কৃষি এবং সামাজিক উন্নয়নে সরকারের সাথে সাথে সাধারণ বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।

দেশের ভেতরে সব ধর্মের মানুষরা যখন শান্তিতে বসবাস করতে পারবে,, দেশের প্রশাসন যখন সব রাজনৈতিক দলের এবং সব মানুষদের নিরাপত্তা প্রদানে সমান উদ্যোগী হবে এবং সরকারি সব প্রতিষ্টান যখন দেশের জনগণের উন্নয়নে একাধারে কাজ করবে ,, তখন বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউই থামিয়ে রাখতে পারবেনা।

বাংলাদেশ যেন আরো এগিয়ে যায় এ প্রত্যাশা রাখি,, প্রত্যাশা রাখি বাংলাদেশী হিসাবে ইন্ডিয়ান কিংবা পাকিস্তানিদের সামনে আরো বেশি মর্যাদাশীল একটা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে বুক ফুলিয়ে হাঁটার।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন