বিলাসবহুল জোৎসনা ম্যানশনে বসবাসরত চারটি মানুষই ঠিক চার্ রকমের। বাড়ির মালিক প্রকৌশুলি মিজানুর রহমান অত্যন্ত চতুর টাইপের মানুষ। সমাজে সাধারণত চতুর টাইপের মানুষেরা তেমন কিছু করতে পারে না। সৃষ্টিকর্তা কোনো এক বিচিত্র কারণে ধনদৌলত অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেবল বোকা টাইপের মানুষদের দিয়ে থাকেন। মিজানুর রহমান সাহেবের ব্যাপারে অবশ্য এটা খাটে না, কারণ উনি চতুরতার পাশা পাশি ভয়ানক ধরণের ধূর্ত একজন মানুষ যার কারণে দেশে বিভিন্নভাবে টাকা হাতিয়ে যে বিস্তর সম্পদের মালিক হয়েছেন তা সরকারের চোখে ধুলা দিয়ে বহাল তবিয়তে কানাডার মতো দেশে রাজপ্রাসাদ বানিয়ে রাজার হলে দিন কাটাচ্ছেন। স্ত্রী রুপা চোখ ধাঁধানো রূপবতী মহিলা। সম্ভবত, ভয়ানক রূপের কারণেই ডাক নাম রাখা হয়েছিল রুপা। রুপার বাবা, শরিফুল হোক সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে জয়পুরহাট অফিসের হেড ক্লার্ক ছিলেন । বুয়েট থেকে পড়া মিজানুর রহমান বি সি এস পাস করে শরিফুল হোক সাহেবের অফিসে প্রধান প্রকৌশুলি হিসাবে সবে যোগ দিয়েছেন। রুপার তখন ইনারমিডিয়েট পরীক্ষার মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। তাতে কি, এমন পাত্র হাত ছাড়া করা যায় না। তাড়াহুড়া করে মেয়েকে বিয়ে দিলেন মিজানুর রহমানের সাথে। রূপবতী রুপার আর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেয়া হলো না। রুপার তাতে তেমন আফসোস নেই বললেই চলে। মেয়েদের রূপ ও মেধা সচারচর সমান্তরালে চলে না। রুপার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। স্বামীর এত অঢেল অঢেল সম্পদ কখন কিভাবে হলো, সেটা নিয়ে রুপার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই । এই জোৎস্না ম্যানশন এর এক মাত্র ছেলে অয়ন প্রচন্ড মেধাবী । গিফটেড হাই স্কুল থেকে অন্টারিওর মধ্যে রেকর্ড পরিমান মার্ক নিয়ে আই ভি প্রোগ্রাম থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ছে। লেখা পড়ার বাহিরে অয়নের আর বিষয় সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আগ্রহই নেই। সারাক্ষন কেবল পড়া লেখা। যেমন, অয়ন কে এখন যদি বলা হয় বাবা করোনা ভাইরাস কি জিনিস, আমতা আমতা করে বলবে, এক ধরণের ভাইরাস তবে মানুষের ক্ষতি করে কিনা জানিনা। অদিতি, অয়নের প্রায় পিঠা পিঠি তবে স্বভাব চরিত্রে বড় ভাইয়ের সাথে তেমন একটা মিল নেই। ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোতে সাইকোলজি নিয়ে পড়ছে। অদিতি, ওয়নের মতো অতো মেধাবী না হলেও মাথায় অন্তত সেই পরিমান বুদ্ধি রাখে যা দিয়ে বুঝতে পারে তাদের বাবা একজন অসৎ চরিত্রের মানুষ। তাদের বাবা অসৎ উপায়ে বিস্তর সম্পদের মানুষ হয়েছে, এবং কানাডাতে এই বিশাল বিলাসবহুল ম্যানসন বানিয়েছেন । আর এটা বুঝার পর থেকে অদিতি বাবা কে তীব্র ঘৃণা করে। বাবা বলে সম্বোধন পর্যন্ত করে না। সাধারণত বাবার সাথে ভাব বাচ্চে কথা বলে। যদি দরকার পরে, বাবাকে মিস্টার রহমান বলে ডাকে। প্রথম প্রথম মিজানুর রহমান সাহেব বেশ রাগ করতেন । এখন গা সয়ে গেছে । মিজানুর রহমানদের মতো মানুষদের বাবা বললেই বা কি আর মিস্টার রহমান বললেই কি , এদের গায়ের চামড়া অনেক অনেক মোটা থাকে ।

আজকের ডিনারের টেবিলে মোটামুটি সবাইকে বেশ হাসি -খুশি দেখাচ্ছে। এর প্রধান কারন সম্ভবত গতকালের ‘এসো এ বরফ ও বসন্তে হারিয়ে যাই’ পার্টি বেশ সাকসেসফুল ভাবে শেষ হেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য সবার ভালো মুডের আরেকটি কারণ হতে পারে; কালকের পার্টির পর থেকে লোপা আন্টি এ বাসায় থেকে গেছে। লোপা আন্টি এ বাসায় অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। মানুষকে হাসি -খুশি রাখার উনার এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে। আজকে উনি সেই ক্ষমতাকে খুব ভালোভাবেই প্রয়োগ করছেন বলে মনে হচ্ছে।

–” বুঝলি, একবার হয়েছে কি এক সাদা ফরেনার, বাংলাদেশে যেয়ে গাইডকে সঙ্গে করে ঢাকা চিড়িয়া খানায় বেড়াতে গেলো । খাঁচার উলঙ্গ গরিলা কে দেখে একটি কলা খেতে দিলো। তো হয়েছে কি, গরিলাটি কলাটা নিয়ে তার নিজের পাছায় ঠেকিয়ে তারপর কলাটি খাওয়া শুরু করলো”

এতটুকু বলতেই, একেকটি শ্রোতা হাসিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে । এমনকি অদিতি যে সবসময় কিনা কম কথা বলে, গম্ভীর থাকে, সেও হাসতে হাসতে বলছে , “তারপর কি হলো আন্টি?” মিজানুর রহমানের স্ত্রী রুপা খাবার মুখে বিষম খেয়ে যা তা অবস্থা । অয়ন অত্যন্ত পাওয়ারফুল চশমার ফাক দিয়ে বিস্ময়ভাবে আন্টির দিকে তাকিয়ে বলে ” থামলে কেন আন্টি বোলো” । বাবা প্রকৌশুলি মিজানুর রহমান কিছুটা ধন্দের মধ্যে আছে , এই বুঝি লোপা বাচ্চাদের সামনে চুটকি বলতে যেয়ে বেফাঁস কিছু বলে ফেলে। লোপা আন্টি ইচ্ছা করেই চুটকিটি বলতে একটু সময় নিচ্ছেন। এটা হলো উনার স্টাইল। গল্পের মাঝপথে শ্রোতাদের আগ্রহকে জাস্ট একটু বাড়িয়ে দেওয়া। লোপা আন্টি জগ থেকে এক গ্লাস পানি ঢেলে ঢোক ঢোক করে খেয়ে আবার শুরু করলেন :
: তার পর , ফরেনার মহিলাটির তো খুব কিউরিসিটি হলো, গোরিলাটি এমন অদ্ভুত আচরণ কেন করলো ? গাইড কে ততক্ষনাৎ বললো, ” কালকের মধ্যে এর কারন যে করেই হোক বের করতে হবে। গাইড ব্যাচারা অনেক খোজাখুজি করে অবশেষে কারন বের করে পরদিন মহিলাটির কাছে এলেন।

-” ম্যাডাম, কারণ খুঁজে পেয়েছি। ঘটনাটি হচ্ছে, গত বছর আপনার মতো এক ফরেনার মহিলা চিড়িয়াখানায় এসে গোরিলাটিকে একটি বেল খেতে দিয়েছিলো। পরে বাথরুম করতে ব্যাচারা গোরিলাটির অনেক কষ্ট হয়েছিল, তাই এবার আপনার কাছে কোলা নিয়ে ও পাছায় মাপ নিচ্ছিলো, এটি নিজ দিয়ে ঠিকভাবে পাস্ করতে পারবে কি না।” মিজানুর রহমান কিছুটা স্বস্তি পায়। যাক, লোপা চুটকি বল তে যেয়ে আজ তেমন বেফাঁস কিছু বলে নি । তবে, লোপার মুখ যে আলগা তার প্রমান হাড়ি হাড়ি আছে । অনেকদিন আগে, একবার নাস্তার টেবিলে লোপা বা বাচ্চাদের সামনে বেফাঁস চুটকি বলে ফেলেছিলো যেই না অদিতি এটিকে বলছিলো “আন্টি, আমার মন বেশ খারাপ। ক্লাসের এসাইনমেন্ট সময়মতো জমা না দেয়াও অনেক কম নাম্বার পেয়েছি । মন যাতে ভালো হয়ে যায় এমন একটু ভালো করে দাওতো ।

উইকেন্ডে পরিবারের সবাইমিলে এক সাথে টেবিলে ডিনার করা এ বাড়ির অনেক দিনের প্রথা। আজকের ডাইনিং টেবিলে লোপা আন্টির উপস্থিতিতে জোৎস্না ম্যানশনের এই ডিনারের আড্ডার মধ্যমনি এই লোপা আন্টিকে দেখে একেবারেই বোঝার উপায় নেই কি ভয়ানক কষ্ট উনি বেয়ে বেড়াচ্ছেন। লোপা আন্টি এ বাড়ির গৃহকর্তী রুপার এক দূরসম্পর্কের খালাতো বোন । জয়পুরহাট মহিলা কলেজে থেকে ডিগ্রি সাবসিডিয়ারি পরীক্ষার সময় সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যাংকার এর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায়। বছর পাঁচেক সংসার করার পরে স্বামী স্ত্রী ও কোলের বাচ্চা কে নিয়ে কানাডায় পারি জমায় ও স্থায়ী ভাবে বাস করতে থাকে। কোল জুড়ে আসে এক ছেলে, নাম রাখেন, নিহাল । সিরাজুল ইসলাম নিউকামার হিসাবে এখানে তেমন সুবিধা করতে না পেরে দেশে ফিড়ে যান , কিন্তু লোপা আন্টি ছেলে নিহালকে নিয়ে এখানেই থেকে যান। স্বামী দেশ থেকে এলে দেশে খুব হৈচৈ আনন্দ হয়। একবর, সিরাজুল ইসলাম মাত্র এসেছেন দেশ থেকে ২/৩ দিন আগে। লম্বা প্লেন জার্নির ধকল ঠিক কাটাই নি । কি কাজে উনি গাড়ি চালিয়ে ব্রাম্পটনে গিয়েছিলেন বিকাল বেলা। যাওয়ার আগে স্ত্রীকে বলে গেলেনা রেডি হয়ে থাকতে হুইটবিতে এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত আছে। লোপা ঘন্টা খানিকের মধ্যে রেডি হয়ে স্বামীকে ফোন দেয়। লোপা ঠিক ফোনেই স্বামীর সাথে কথা বলছিলেন । হটাৎ বিকট শব্দের পরে স্বামীর কথা বন্ধ হয়ে যায়। সিরাজুল ইসলাম ৪০১ হাই ওয়ে স্ক্যারবোরোর দিকে বাড়ির পথে যাচ্ছিলেন। গাড়ি চালিয়ে এলেন রাস্তা পার হয়ে এভিনিউ রোডের পরে ব্রিজের উপরে উঠতেই পিছন থেকে ট্রাকের ধাক্কায় গাড়ি সহ ব্রিজের নিচে গহীন জংঙ্গলের মধ্যে পরে যান সিরাজুল ইসলাম লোপা ফোনে চিৎকার করে করেও স্বামীর কোনো সাড়া পায়না। ঘন্টা দেড়েক পরে দরজায় পুলিশ এসে সিরাজুল ইসলাম এর মারাত্মক এক্সিডেন্টের খবর দেয়। লোপা ছেলেকে নিয়ে তড়িঘড়ি করে পুলিশের ভ্যানে করে হাসপাতালে ছুটে যায়। অপতমস্তক কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা স্বামীর ডেড বডি লোপা পাগলের মতো বিলাপ করতে থাকে। মাত্র কিছুক্ষণ আগেও যে মানুষটির সাথে ফোনে কথা বলছিলো সেই মানুষটি আর নেই। লোপার কানে এখনো স্বামীর বলা শেষ শব্দগুলি অনেকদিন অনেক বছর পর্যন্ত বাজতে থাকে । ” তোমার সবাই রেডিতো, আমি এইতো চলে এসেছি । মানুষের জীবন কতই না ক্ষণস্থায়ী। এই এতটুকু জীবনের জন্য মানুষের কত লোভ-লালসা, চাহিদা, ভোগ বিলাস !!

মিজানুর রহমান চমৎকার আড্ডার মধদিয়ে রাতের খাবার ছেড়ে হালকা আকাশি রঙের স্লিপিং গাউন পরে ফ্রিজ থেকে শ্যাম্পেন বের করে ব্যালকনিতে বসে খেতে থাকে। রুপা ও লোপা টিভিতে ভারতীয় চ্যানেলে সিরিয়াল। মিজানুর রহমান অন্ধকার ব্যালকনিতেই াক বসে থাকে । এক ফাঁকে দামি লাইটার জ্বালিয়ে সিগারেট ধরায়। ফেব্রুয়ারির মাঝা মাঝে মাঝি চলছে। আবহাওয়া কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না । এই প্লাস টেম্পেরেচার , আবার এই মাইনাস। এখনো স্নো একটু একটু পড়ছে। খুব বেশি ঠান্ডা লাগছে না বলে আয়েশ করে সিগারেট টানছে ও একটু পর পর কুচি কুচি বরফ দেয়া সাম্পানের গ্লাসে চুমুক দিচ্ছে । গতকালের বিশাল পার্টির পরে মিজানুর রহমান ভাবছে টরেন্টোতে আবার হয়তো তার কিছুটা পসিটিভ ইমেজ তৈরী হয়েছে। তারপরেও, বাঙালিদের বিশ্বাস নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এঁরা কেবল মুখে মুখে থাকে। সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে চতুর মিজানুর রহমান ভাবতে থাকে ম্যানেজার মোতালেবকে দিয়ে বাঙালি পাড়ার আড্ডার জায়গাগুলোতে লোক লাগিয়ে দিতে হবে, তাহলে বুঝা যাবে সত্যি সত্যি বাঙালিরা তাকে নিয়ে কি ভাবছে । পরিস্থিতি আগে ভালো করে বুঝে ঠান্ডা মাথায় চাল ভেবে চিনতে চাল দিতে হবে। একটি চাল ভুল হলে, এই টরন্টোর দুইটি গ্যাসের দোকান, নায়াগ্রা ফলসে বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট, মিসিসাগাতে মিজানুর রহমানের বিশাল মিজান শপিং কমপ্লেক্সে সব একেবারে মাঠে মারা যাবে । কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে মিজানুর রহমান বেড রুমের দিকে এগিয়ে যায়।

(এই লেখার প্রতিটি চরিএ  কাল্পনিক-লেখক)
(চলবে)

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশে ২০ দিন :যা করলাম/দেখলাম ( দ্বিতীয় পর্ব)
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ: টি- ২০ তে তামিমদের দাপুটে জয়
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন