আপনার মৃত ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করুন (লুটেরা এবং দুর্নীতিবাজদের প্রতি আহ্ববান)।

যদিও ঘুষ, দুর্নীতি, ঠকবাজি, ভেজাল খাদ্য, ভেজাল ব্যাবসা ইত্যদি শব্দগুলির সাথে আমরা যারা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ইত্যাদি দেশ থেকে এসেছি তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে ইদানিং কানাডাতে এগুলির কিছু ডালপালা নাকি আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকা বা সামাজিক মাধ্যম এবং কিছু পরিচিত জনের মাধ্যমে এই খবরগুলি জানছি।
আজকের লেখাটি বিশেষ করে নিচের লিংকের দুটি লেখা পড়েই লিখছি।


অনেকদিন আগে দেশে থাকতে সুইস ব্যাংকে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের দুইনম্বরি টাকা জমানোর কথা শুনছি। এখন দেখছি আমার দ্বিতীয় দেশ কানাডাতেও দেশের চুরি করা কালো টাকা সাদা বানিয়ে এখানে রতা-রাতি কালা মিয়া ধলা মিয়া হওয়ার চেষ্টা করছে। আর এদিকে খেটে খাওয়া কানাডিয়ানরা কাজ করে, ট্যাক্স দিয়ে প্রায়ই বেশ hectic অবস্থার মধ্যে দিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন এবং অনেকেই আবার কষ্ট করে কিছু সেফ করে দেশে পাঠাচ্ছেন। আর এদের এই কষ্টে অর্জিত পাঠানো টাকা দেশের অর্থনীতিতে inject হচ্ছে। দেশের সরকার এবং সাধারণ মানুষ জানেন এবং স্বীকার করেন যে Foreign Remitence দেশের অর্থনীতির একটি বিরাট চালিকা শক্তি।
একটু ভালো করে ভেবে দেখুন, সেই দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাত থেকে যখন কোনো দুর্নীতিবাজ অর্থ চুরি করে, এবং সেই চুরি করা অর্থ দিয়ে যখন এখানে আসে তখন এক অর্থে সে আপনার অর্থও চুরি করেছে। তাহলে এখন কি দাঁড়ালো? আপনি টাকা পাঠাচ্ছেন, আপনার টাকা চুরি করে আপনার কাছে এসে আপনাকে আঙ্গুল দেখাচ্ছে, এবং অনেক ক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে বাহবা দিচ্ছি।
অনেকে এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্ববান জানাচ্ছেন, আবার অনেক সরকারকে এই জাতীয় চোরদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্ববান জানাচ্ছেন। সবই ঠিক আছে, তবে আমি মনে করি এর সাথে সাথে আমাদেরকে কিছু মানুষের মধ্যে এই যে মলমূত্রকে অবলীলায় মধু ভেবে খাওয়ার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে দূর করতে হবে। জিনিসটি খুব সহজ কাজ না এবং দ্রুত সমাধান হবে না, তবে আবার অসম্ভবও না।
শুধু মাত্র সরকার, প্রশাসন বা সামাজিক আন্দোলনের আশায় বসে থাকলে চলবে না। আপনার আমার ব্যক্তিগত কিছু দায় দায়িত্ব আছে সেটি শুরু করতে হবে, তা না হলে এগুলি চলতেই থাকবে, সে যত আইন কানুন আর ধরপাকড় হোক না কেন। আপনি এবং আপনার নিজের পরিবার, বন্ধু বান্ধব অথবা আত্মীয়র মধ্যে দেখুন এমন কেউ আছে কি না, যার আয়ের যথাযত উৎস নেই কিন্তু অর্থের পাহাড়, এবং কোনো ক্রমে যদি জানেন এই অর্থ দুই নাম্বারির তাহলে কোনো কিছু না করতে পারলে তাকে বর্জন করুন। এই জাতীয় লোক আপনাকে যদি দই-মিষ্টি বা কোর্মা পোলাও খেতে দেয়, মনে করুন সে আপনাকে তার নিজের মলমূত্র খেতে দিয়েছে।
এই জাতীয় লোকের সাথে বা তার ছেলেমেয়েদের সাথে সম্পর্ক করা থেকে দূরে থাকুন। যেমন ধরুন আপনি আপনার মেয়ে বিয়ে দিচ্ছেন একজন মোটামুটি ব্যাবসায়ী বা কোনো একজন চাকরিজীবী ছেলের সাথে। ছেলেটির চাকরি/ব্যবসা এবং তার আয়ের সাথে তার সম্পদের কোনো সামঞ্জসহ নেই। আপনি এই ক্ষেত্রে পুলকিত না হয়ে একটু ভালো করে ভেবে দেখুন। যদি না ভেবে-চিনতে এই জাতীয় সম্পর্ক করেন তাহলে আপনি নিজে দুর্নীতি বা চুরি চামারি না করলেও পরোক্ষভাবে আপনিও চোর এবং চোরের মদদ দাতা, এবং মলমূত্রকে মধু ভেবে খাবেন।
ছোটবেলা থেকে আপনি আপনার ছেলেমেয়েদেরকে মলমূত্র , বিষ এবং মধু এগুলির পার্থক্য বোঝাতে চেষ্টা করুন। আমার মতে উপরে উল্লেখিত দুর্নীতিবাজরা তাদের ছেলেমেয়ে, স্ত্রী /স্বামী বা বাবা-মাকে নিজ হাতে মলমূত্র খাওয়াচ্ছে। হাঁ, ঐভাবে দেশের এবং মানুষের অর্থ লুট পাটের টাকা দিয়ে যারা ছেলেমেয়ে বা বাবা-মাকে খাওয়ান তারা জেনে শুনে তাদেরকে মলমূত্র বা বিষ খাওয়াচ্ছেন, আর তাদের পরিবারের লোকজনও বিমোহিত হয়ে সেই মলমূত্র শুধু খাচ্ছে না, অনেক ক্ষেত্রে এগুলি খেয়ে বাহাদুরিও করে থাকে। আসুন আমরা সবাই নিজে এই ধরনের মলমূত্র খাওয়া থেকে বিরত থাকি এবং যারা খায় তাদেরকে শুধু বর্জন নয়, তাদের দেখলে নাকে কাপড় দিন !
এই জাতীয় মলমূত্র খোর লোক এখানে এসে যত ভালো বাড়িতে থাক অথবা যত দামি গাড়িতে চড়ুক, তারা আমার কাছে মলমূত্রের তৈরী মানুষের একটি আকৃতি। এদের সানিধ্যে আশেপাশের বাতাসও দূষণ হবে। এখানে যে একটি রেস্টুরেন্টে ডিশ ওয়াশ করেন, সরকারকে ট্যাক্স দেন এবং মোটামুটি তার সংসার চালান তাদেরকে আমি ওই সমস্ত মলমূত্রখোর কোটিপতি বা মিলিওনাদের থেকে অনেক অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি। আর হাঁ, এই জাতীয় মলমূত্র খোর দুর্নীতিবাজ অন্নান্ন দেশেও আছে তবে আমি শুধু বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজদের কথা বলেছি কারণ ওটি আমার প্রিয় জন্মদেশ।
দেশে বলেন, এখানে বলেন এখনো অনেক সৎ ও ভালো মানুষ আছে, সেই সমস্ত মানুষের কাছে আহ্ববান; আসুন যে সমস্ত মানুষের মধু আর মলমূত্র বোঝার ইন্দ্রিয়ের মৃত্যু ঘটেছে আমরা তাদের সেই ইন্দ্রিয় জাগ্রত করার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি। আমিন !!!!
সবাই ভালো থাকুন।
মুকুল
টরন্টো

কানাডাতে লুটেরাদের করি Naming & Shaming:******************************************************২০১২-২০১৩ সালের দিকের…

Posted by Md Saiful Alam on Wednesday, January 15, 2020

বিঃ দ্রঃ দুর্নীতি, চুরি বা লুটের অর্থকে মলমূত্র বা বিষ ছাড়া অন্য কিছুর সাথে তুলনা করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।

https://bonikbarta.net/…/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%89-%E0%A6…https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10221380607811442&set=gm.2720791608011413&type=3&theater&ifg=1BONIKBARTA.NETbonikbarta.net

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন